ডুবন্ত ট্রলার শনাক্ত, ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। এর আগে রোববার সকালে পাঁচ দিনের মাথায় নারী, শিশুসহ চারজনের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে নৌ-ডুবুরিরা। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আছেন ৪ জন। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লা আল আরেফিন।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজ জেসমিন ও তার মেয়ে তাসনিম কলেজ ছাত্র সাব্বির ও জোসনা বেগমের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেলে আওলাদ হোসেন ও মোতালেব নামের দুইজনের মরদেহ ভেসে ওঠে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস জানান, যেখানে ট্রলার ডুবেছে, সেখান থেকে কিছুটা দূরে দুইটি মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। অন্তত ৩০ যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে। বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ১০ জন নিখোঁজ ছিল।
এমএন/এসকে
মন্তব্য করুন