• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

করোনা সংক্রমণেও কক্সবাজারে উপচে পড়া ভিড়

কক্সবাজার প্রতিনিধি : আরটিভি নিউজ

  ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ২১:৫৪
করোনা সংক্রমণেও কক্সবাজারে উপচে পড়া ভিড়

করোনা সংক্রমণের মধ্যে কক্সবাজারে বাড়ছে পর্যটক। ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় ফের মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সম্প্রতি ধর্ষণকাণ্ডসহ একাধিক বিচ্ছিন্ন ঘটনায় নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা কাটিয়ে বিপুল পরিমাণ পর্যটক সমাগম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে চাঙ্গা ভাব লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ছুটির দিনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তিনটি পয়েন্টই ছিল লোকারণ্য। এদিন লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে, কোভিড - ১৯ এর নতুন ধরণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মাঝেও পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে তেমন সাবধানতা পরিলক্ষিত হয়নি। অনেক পর্যটক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আবার হয়তো লকডাউন আসতে পারে। তাই আগে ভাগেই ঘুরে যাচ্ছেন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে দলে দলে নামতে শুরু করেন ভ্রমণ পিপাসুরা। সাগরের লোনা জলে নেমেই যেন তাদের প্রশান্তি।

সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে কথা হয় সিলেটের তালতলা থেকে আগত পর্যটক ওমান আহাম্মদের সঙ্গে। তিনি বলেন,অনেক দিনের ইচ্ছে, কক্সবাজার বেড়াতে আসব। অবশেষে ছুটির দিনে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসতে পেরেছি। এখানে সৈকতে নেমে অসাধারণ এক অনুভূতি, দীর্ঘ যাত্রাপথের সকল ক্লান্তি ভুলে গেছি। খুব ভালো লাগছে।

আরেক পর্যটক হুমায়ুন আহমেদ বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে অন্যকোন স্থানের তুলনা হয় না। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চমৎকার। পুলিশের উপস্থিতি রয়েছে সব পয়েন্টে। কক্সবাজার ঘুরে বেশ আনন্দ পাচ্ছি।

এদিকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের আশঙ্কায় প্রশাসনের রয়েছে নানা নির্দেশনা। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানলেও অনেকে তা মানতে নারাজ। টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে জলে নামলে মুখে মাস্ক রাখা কি আর সম্ভব হয়। পুলিশও এখানে অসহায় দৃষ্টি রাখা ছাড়া আর কিছু করতে পারছে না।

সী সেইফ লাইফ গার্ড ইনচার্জ আবদু শুক্কুর বলেন, নতুন বছরের প্রথম ছুটির দিনে কক্সবাজারে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট লোকে লোকারণ্য। সবাই বেশ মজা করছে, নোনা জলে গোসল করছে। তিনি আরও বলেন পর্যটকদের সমুদ্র স্নান নিরাপদ রাখতে তিনটি পয়েন্টে লাইফ গার্ডকর্মীরা সবসময় নিয়োজিত রয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে যাতে পর্যটকরা কোনো ধরনের দুর্ঘটনার শিকার না হন।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত, কক্সবাজার বিরোধী সংঘবদ্ধ এবং পরিকল্পিত অপপ্রচারের পরও বিশ্বের দীর্ঘতম বেলাভুমির শহর কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ঢল।
কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা আমাদের সম্মানিত মেহমান। আমরা প্রত্যেকেই যেনো যার যার অবস্থান থেকে আমাদের মেহমানদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করি।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, পর্যটকদের জন্য সব পয়েন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশ কাজ করছে। কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি পর্যটকদের ভিড় উখিয়ার ইনানী, হিমছড়ি, পাতুয়ারটেক টেকনাফসহ সেন্টমার্টিনেও। সব জায়গায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেড়াতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় সেনাসদস্য নিহত
যেভাবে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’
পারিশ্রমিক ছাড়াই ১৮ বছর তারাবি পড়াচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি!
‘কক্সবাজারকে সমৃদ্ধ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে’
X
Fresh