• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ৩০ মে ২০১৭, ০৮:২৬

কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’।

ঝড়ে সেন্টমার্টিনে বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত ও বহু গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইছে। সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।

আজ (মঙ্গলবার) ভোরে এখানে আঘাত হেনে এটি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে।

বইছে ঝড়ো হাওয়া, এগিয়ে আসছে উকূলের দিকে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এসব এলাকায় এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। ১৯৯১ ও ১৯৯৪ সালে আঘাত হানা ঝড়ের চেয়ে এবারের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা বেশি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত এখানে দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্র ও বিভিন্ন হোটেলে যারা আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

এছাড়াও উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আর উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর থাকবে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায়।

আবহাওয়া অফিস বলছে ঘূর্ণিঝড় মোরাকে অবহেলার সুযোগ নেই। এতে স্বাভিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh