• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাঁচ বছর পর কবর থেকে তোলা হলো সাংবাদিকের মরদেহ

বগুড়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২২:৪৬
পাঁচ বছর পর কবর থেকে তোলা হলো সাংবাদিকের মরদেহ
নিহত ব্যক্তি

দাফনের পাঁচ বছর পর বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় শফিউল আলম বিপুল (৩০) নামের এক সাংবাদিকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (৭ডিসেম্বর) সকালে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

জানা গেছে, ঘটনার প্রায় চার বছর পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বরে মামলা করেন নিহত বিপুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম। আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়। বিপুলের সহকর্মী আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ সুলতান হুমায়ুন।

সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল উপজেলার বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। মৃত্যুর আগে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নন্দীগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রাম থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম দাস, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ্ সুলতান হুমায়নসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে অভিযোগ করা হয়, ২০১৬ সালের ১৮ জুন বিকেলে বিপুলের মোটরসাইকেলে ওঠেন প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম জুয়েল। নন্দীগ্রাম আসার পথে বরিন্দা পাগরাপাড়া এলাকায় বিপুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

ঘটনার সময় নন্দীগ্রাম থানায় কর্মরত ওসি (বর্তমানে বগুড়া সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার) মো. হাসান শামীম ইকবাল বলেন, সাংবাদিক বিপুলের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পুনাইল সীমানার কিছুটা দূরে একটি ট্রাককে পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তার বিরুদ্ধে ইউডি মামলা হয়েছিল। সে সময় পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় এবং তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বিপুলের ছোট ভাই কামরুল হাসান বলেন, সে সময় কিছু সমস্যার কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে অভিযুক্ত প্রধান আসামি জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক বিপুলের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জিএম/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
৭ মরদেহ হস্তান্তর, মৃত একজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি 
স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বিদ্যা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকলে মৃত্যু হতে পারে ইউরোপের : ম্যাক্রোঁ
এফডিসিতে মারামারি, যা বললেন অঞ্জনা
X
Fresh