• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নিধনে সিদ্ধহস্ত ছিল : দীপু মনি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:৪৫
জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নিধনে সিদ্ধহস্ত ছিল: দীপু মনি
ছবি: আরটিভি নিউজ

শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা ৭৫ পরবর্তীতে দেখেছি। এ জন্য নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা নিধনে সে ছিল সিদ্ধহস্ত। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পরে প্রথমে খুনি মোস্তাকের সরকার। তারপর স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছিল জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করার হয়েছে নির্বিচারে। চলেছে মুক্তিযোদ্ধা নিধনের মহোৎসব। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে যুদ্ধাপরাধীদেরকে সমাজে, রাষ্ট্রে ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। শহীদের রক্তরঞ্জিত পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে। তাদেরকে বসানো হয়েছে রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে বিদেশে চাকরি দিয়ে সম্মানিত করার চেষ্টা হয়েছে। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ এই দেশ তো খুনির দেশ ছিল না, এখনও নয়।

দীপু মনি বলেন, নির্বাচনসহ সমস্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে একে একে ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়ে ‘জয় বাংলা’ ও ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়াকে। তখন ইতিহাসের বিকৃতি দেখেছি প্রতি পদে পদে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানি করণের সকল চেষ্টা সেদিন হয়েছে। জয় বাংলার বদলে পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করা হয়েছে। রেডিও পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ বেতারকে বদলে রেডিও বাংলাদেশ করা হয়েছে।

এদিকে ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ শত্রু মুক্ত দিবস উপলক্ষে, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জ সুইমিং কমপ্লেক্সে ‘বিজয় পথে পথে’ শিরোনামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সহ-সভাপতি সিকদার নূর হোমাম্মদ দুলু ও মুক্তিযোদ্ধা বদরুদ্দোজা বদর।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে বীরত্বের সঙ্গে গোপালগঞ্জ পাক হানাদার মুক্ত করার চিত্রনাট্য প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আয়োজন শেষ হয়।

জিএম/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাবিতে জিয়াউর রহমান হল ডিবেটিং সোসাইটির যাত্রা শুরু
যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
গণহত্যার ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের কর্তব্য : ডা. দীপু মনি 
‘বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে’
X
Fresh