• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ছাত্রদল নেতা থেকে যেভাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:১৫
ছাত্রদল নেতা থেকে যেভাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

ছাত্রদলের ১৯৯৬ থেকে ৯৮ কমিটিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন সৈয়দ মেহবুব উল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. ইসহাক। সেই কমিটিতে প্রচার সম্পাদক হিসেবে ৪ থেকে ৫ মাস দায়িত্ব পালন করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।

সেই কমিটির ছাত্রদল নেতা ডা. মো. ইসহাক জানান, ১৯৯৪ সালে এম-৩০ ব্যাচে ডাক্তার মুরাদ হাসান এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর ডা. মুরাদ হাসান প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে ৫ থেকে ৬ মাস দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রলীগে যোগদান করেন।

তিনি জানান, মুরাদ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক থাকা অবস্থাতেই তৎকালীন সরকারের ক্ষমতার পালাবদল হয়। সে সময়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর মামলা দিলে মেডিকেল কলেজ শাখার নেতৃবৃন্দ ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়। তখন আমাদের সঙ্গে কথা বলেই ডা. মুরাদ তার বাবার রাজনীতির মতাদর্শের কারণে আদর্শচ্যুত হয়ে ছাত্রলীগে যোগ দেন। বিএনপি-আওয়ামী লীগ দুই আমলেই মুরাদ ছিলেন সুবিধাভোগী নেতা ও মমেক ক্যাম্পাসে ক্যাডার।

এ বিষয়ে ওই সময়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রিপন আরটিভি নিউজকে জানান, মুরাদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তির পর থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলে তিনি ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৯৭ থেকে ৯৮ সালে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৯৯-২০০০ সালে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

বিএনপি’র শাসনামলে ছাত্রলীগের প্রকাশ্য রাজনীতির একজন ডা. বিজয় কুমার পাল। মমেক ২৯তম ব্যাচের ছাত্র। ১৯৯৭-৯৮ সালে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর এই কমিটির সভাপতি ছিলেন আব্দুল ওয়াহাব সরকার বাদল। আর মমেক বাদল-বিজয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বর্তমান সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। পরবর্তীতে ২০০০ সালে ডা. মুরাদ মমেক ছাত্রলীগের সভাপতি হন।

ডা. বিজয় জানান, ১৯৯৪ সালে ৩০ ব্যাচের কেউ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না থাকলেও ৩১ ব্যাচের অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। ডা. মুরাদের বাবা ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর। মুরাদকে পদে আনতে চারদিক থেকে আমাদের চাপ ছিল। সে ছাত্রদল নেতা জানা সত্ত্বেও অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা তাকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করি।

তৎকালীন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, বর্তমানে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার আরটিভি নিউজকে জানান, ডা. মুরাদ হাসান ১৯৯৬-এর ডিসেম্বর মাসে ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। পদত্যাগ করার আগে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

জিএম/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে’
ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক
বিএনপি নেতা হাবিব কারাগারে
মাশরুমের উপকারিতা ও যেভাবে খাবেন
X
Fresh