• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘সাংবাদিকদের ফাটিয়ে ফেলবি, পুলিশ তোদের সঙ্গে আছে’

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১১:১২
‘সাংবাদিকদের ফাটিয়ে ফেলবি, পুলিশ তোদের সঙ্গে আছে’
ছবি: সংগৃহীত

‘সাংবাদিকদের ফাটিয়ে ফেলবি, পুলিশ তোদের সঙ্গে আছে’ এমন মন্তব্য করেছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যাওয়া সাংবাদিকদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

এর আগে সন্ধ্যায় ওই এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ভীতিকর পরিস্থিতি সর্বত্র। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার নেই এলাকায়। বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এলাকায় থাকতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। ভোটারদের মধ্যেও ভয়ভীতি বিরাজ করছে বলে অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

আজ রোববার (২৮ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ১০টি ইউপিতেও ভোটগ্রহণ চলছে। যদিও ভোটের আগেই তিনটি ইউপিতে চেয়ারম্যানরা নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

৫ নম্বর চরপাতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আলম জানান, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের দুইদিন আগে থেকে ইউনিয়নে বহিরাগতরা প্রবেশ করে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এসব ঘটনা নিয়ে আমি ৯টি অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপজেলার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ভোটের মাঠে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চান, সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।
এরপরই পুলিশ এসে সাংবাদিকদের নানান ধরনের জেরা শুরু করেন। সেখানে এসে হাজির হন রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ।

এ সময় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাকে তিনি বলেন, ‘এরা কারা? সবাইকে থানায় নিয়ে যান। এ সময় সাংবাদিকরা তাদের পরিচয় দিলে তিনি আরও ক্ষেপে যান। বলেন, ‘এখানে আপনাদের কাজ কী? আপনারা কেন এসেছেন?’

তার সঙ্গে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দেওয়া একজন বলেন, ‘আপনারা তো সাংবাদিক না, আপনারা রিপোর্টার! এলাকা থেকে চলে যান।’
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাংবাদিকদের ফাটিয়ে ফেলবি, পুলিশ তোদের সঙ্গে আছে।’

এ বিষয়ে অভিযোগ করলে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জলিল বলেন, ‘বিষয়টা আমি দেখছি। নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।’

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বৈধ অনুমতি বা পরিচয়পত্র থাকলে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। আমরা বিন্দুমাত্র নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যত্যয় ঘটতে দেব না।’

এসএস/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইউপি নির্বাচনে এমপির হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সুষ্ঠুভোট নিয়ে শঙ্কা 
২২ ইউপিতে নির্বাচন ২৮ এপ্রিল
পদ্মায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৯ 
মনপুরায় ইউপি নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান হলেন আলমগীর
X
Fresh