অধ্যক্ষের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় ফের তদন্ত কমিটি
বরগুনার আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. ফোরকান মিয়ার বি এ পাসের সার্টিফিকেট জালিয়াতি ঘটনায় ফের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তিন সদস্যবিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মো. ফোরকান মিয়া বিএ (পাস) সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে ১৯৯৯ সালে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক পদে চাকরি নেন। ২০১০ সালে তিনি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে আসেন। অধ্যক্ষ পদে আসার পরে তিনি দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্ককারী, অর্থ আত্মসাৎ ও সার্টিফিকেট জালিয়াতিরসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৩ সালে তার বিএ পাসের সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। পরে তিনি স্বেচ্ছায় কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
ঘটনার ৮ বছর পরে এ বছর জুলাই মাসে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাকসুদা আক্তার জোসনাকে সভাপতি করে তিনি পুনরায় অধ্যক্ষ পদে বহাল হন। ফোরকানের বিএ পাসের সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও পুনরায় অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে বহাল হওয়ায় ঘটনা তদন্তে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল অঞ্চলকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাবেক অধ্যক্ষ মো. ফোরকান আরটিভি নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত তদন্তের কোনো চিঠি হাতে পাইনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন নশা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের জাল সার্টিফিকেট ও অধ্যক্ষ পদে থাকার ঘটনা তদন্তে পত্র পেয়েছি।
এমআই/টিআই
মন্তব্য করুন