বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোয় আপত্তি তোলা মেয়রের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বসানোয় আপত্তি তোলার অডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় ৩টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে তিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন থেকে মেয়রের অডিওটি ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
জানা গেছে, চন্দিমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাদী নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তহিদুল হক সুমন। বোয়ালিয়া থানায় করা অভিযোগ দায়ের বাদী হয়েছেন নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও ১৩ নম্বর কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন। রাজপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।
ভাইরাল অডিও’র এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের বক্তব্য শোনা যাচ্ছে, তিনি একজনকে বলছেন, ‘সিটি গেট আমার অংশে। …ফ্রার্মকে দিয়েছে তারা বিদেশি স্টাইলে সাজিয়ে দিবে, ফুটপাত, সাইকেল লেন টোটাল আমার অংশটা। কিন্তু একটু থেমে গেছি, গেটটা নিয়ে। একটু চেঞ্জ করতে হচ্ছে…... যে ম্যুরালটা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর সেটা ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়। এ জন্য আমি ওটা থুব না (রাখব না), সব করব তবে শেষ মাথাতে যেটা… ওটা (ম্যুরাল)।’
মেয়র আব্বাস আলী বলছেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি, ম্যুরালটা ঠিক হবে না দিলে। আমার পাপ হবে; তো কেন দিব, দিব না। আমি তো কানা না, যেভাবে বুঝাইছে তাতে আমার মনে হয়েছে, ম্যুরালটা হলে আমার ভুল করা হবে। ‘এ খবরটা যদি যায় তাহলে আমার রাজনীতির বারোটা বাজবে যে এই ম্যুরাল দিছে না। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে গিয়ে… আল্লাহকে নারাজ করব নাকি। এ জন্য কিছু করার নাই। মানুষকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে, আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করা যাবে না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইলে কয়েকবার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অনিল কুমার সরকার বলেন, মেয়র আব্বাসের ভাইরাল অডিওর বিষয়ে আমরা অ্যাকশনে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছি। তারা শাস্তিমূলক কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটি জানাবেন।
উল্লেখ্য, মেয়রের ভাইরাল অডিওটি কোন সময়ে বা কাদের সঙ্গে আলাপের সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জিএম/এসকে
মন্তব্য করুন