বসতভিটা দখলের চেষ্টায় নির্যাতন ও চাঁদা দাবির অভিযোগ
চাঁদা না পেয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের মধ্যভাড়ালিয়া এলাকার এক ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারটির।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে এ বিষয়ে তাদের বসতবাড়িতে আইনি সহায়তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
নির্যাতনের শিকার বাড়ির মালিক কুদ্দুস মোল্লার ছেলে সিএনজি চালক বাদশা মিয়া আরটিভিকে জানান, তার রিকশাচালক পিতাসহ আত্মীয় স্বজন মিলে প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের মধ্য ভাড়ালিয়া এলাকায় ১০ কাঠা জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিল।
বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন প্রভাব দেখিয়ে তার সহযোগী গফুর, রুবেল, শুভ ও মাসুদ আমাদের বসতভিটা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিতে চায়।কিন্তু আমরা দিতে না চাইলে বিনিময়ে চাঁদা দাবি করেন। তবে বাড়িটি তাদের পৈত্রিক দাবি করে আমাদেরকে বাড়ি থেকে উৎখাত করতে নানা ভাবে নির্যাতন চালায়।
একপর্যায় গত ১৪ নভেম্বর রুবেল ও মাসুদ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমাদের বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার মা আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করেন। তাদের এই অমানুষিক নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি আমার
ভাগ্নি পাঁচ বছরের শিশু খুশবুও। তারা আমার ভাগ্নি খুশবুকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে আমাদের তিনদিন ঘরবন্দি করে রাখে।ফলে চিকিৎসা নিতে আমরা হাসপাতালে যেতে পারিনি।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী (নির্যাতিতা) পারুল বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি আঘাত করেছে। স্থানীয় ভাবে আমরা নির্যাতনের সঠিক বিচার পাইনি। প্রতিটি মূহুর্তে আতঙ্কে আছি। হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা। বিষটি যেন না জানাই।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আক্তার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মারামারির ঘটনা সত্য। তবে এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয়। আগামী ইউপি নির্বাচনের পর মারধরের ঘটনার বিষয়টি স্থানীয় গ্রাম সালিশের মাধ্যমে সমাধান করবেন আশ্বস্ত করেন তিনি।
নির্যাতিত পরিবার আইনি সহায়তার বিষয়ে থানা পুলিশের সাথে কথা বলতে চাইলে, মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এমএন/এসকে
মন্তব্য করুন