গাজীপুরে আ.লীগের কয়েকটি কার্যালয় থেকে সরানো হলো জাহাঙ্গীরের ছবি
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের পর সেখানকার কয়েকটি আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তার ছবি নামিয়ে ফেলার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, কোনাবাড়ী, টঙ্গী, সালনাসহ গাজীপুরের কয়েকটি দলীয় কার্যালয়ে সাঁটানো জাহাঙ্গীরের ছবি নামিয়ে ফেলা হয়।
এর আগে গেল শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সভায় জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাঙ্গীর আলম যেহেতু দল থেকে বহিষ্কৃত, তাই এখন তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। এ কারণে দলীয় কার্যালয় থেকে তার ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, কোনাবাড়ী থানা, কোনাবাড়ী মহানগর আওয়ামী লীগ, কাশিমপুর দলীয় কার্যালয়, সালনা, টঙ্গীসহ মহানগরের সব দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমতউল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের ছবি সাঁটানো ছিল। জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের পর তার ছবি নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
চার মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে কটূক্তি করেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় দুটি সংস্থা নিয়েও নানান আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি। জাহাঙ্গীর মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর দেশ স্বাধীন করার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এ ঘটনায় গাজীপুরে মেয়রের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল বের হয়। রাজনীতির অঙ্গনে জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। গাজীপুরের পরিস্থিতি শান্ত করতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নেয়।
গত ৩ অক্টোবর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমকে শোকজ করে আওয়ামী লীগ। এতে সই করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে জবাব দিতে বলা হয়। শোকজের জবাব দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাহাঙ্গীর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমা পেলেন না তিনি। দল তাকে বহিষ্কার করা হয়।
এসএস/টিআই
মন্তব্য করুন