সিরাজগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা ২নং রাজাপুর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীক আতাউর রহমানের বাড়িতে ইট-পাটকেল ও ককটেল ফাটিয়ে কর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোনিয়া সবুর আকন্দের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
আত্মরক্ষার জন্য এ ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ প্রশাসনকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে এসআই ইশান তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় নৌকার কর্মীরা এসআই ইশান ও সহকর্মীদের ওপর অশালীন নোংরা ভাষা ও তাদের ওপর চড়াও হয়ে গায়ে হাত তোলে। এমনকি একজনকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার বন্দুক কেড়ে নেওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করে বলে জানান তিনি।
পরিস্থিতির অবনতি দেখে এসআই ইশান থানায় ফোন দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ প্রশাসন চান। পরে বেলকুচি থানার সার্কেল এসপি সিদ্দিক আহমেদ ও থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। অতিরিক্ত পুলিশ প্রশাসন দেখে নৌকার কর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় নৌকার দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বেলকুচি থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কোনো কর্মীকে ভোট চাইতে মাঠে নামতে দেয় না। শুধু তাই নয় সারা ইউনিয়নে আমার ২০ হাজার পোস্টার লাগানো হয়েছে অথচ একটা পোস্টারও নেই সব ছিরে ফেলে দিয়েছে। আমার বাড়িতে এসে ইট পাটকেল ও ককটেল ফাটিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আমার নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে ফোন দেই কিন্তু পুলিশ কম হওয়ায় তাদের উপরও হামলা চালায়। পুলিশের পোশাক ও তাদের ঘায়ে হাত তোলায় আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে এদের উপযুক্ত বিচার চাই।
নৌকা প্রার্থী সোনিয়া সবুর আকন্দ এ হামলার ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেন, তারা আমাদের মানহানি করার জন্য থানায় ফোন দিয়ে ভুল বুঝিয়ে আমার দুইজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে।
এসএস/টিআই
মন্তব্য করুন