• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনা মোকাবেলার যৌথ মহড়া

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, চট্টগ্রাম

  ২৩ মে ২০১৭, ১৯:৫১

৫৭ জন যাত্রী ও ক্রুসহ এবিসি এয়ারওয়েজের একটি মাঝারি আকারের বিমান অবতরণের জন্য অগ্রসর হচ্ছিল। অবতরণের ঠিক আগ মুহূর্তেই বিমানের পাইলট কন্ট্রোল টাওয়ারকে জানান বিমানের দু’টি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে গেছে এবং ককপিটে ধোঁয়া চলে এসেছে।

রানওয়ে ধরে ৫০০ ফুট অতিক্রম করার পর বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। বিমানটির নিচের অংশে আগুন ধরে যায় এবং এর ডান পাখাটি ভেঙে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো বিমানটিতেই আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়েন।

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ধরনের একটি দুর্ঘটনাকে কল্পনা করে ‘এয়ারপোর্ট ইমার্জেন্সি এক্সরাসাইজ ২০১৭’ শীর্ষক যৌথ মহড়া চালানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর এম মোস্তাফিজুর রহমান ও এয়ারপোর্ট ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার মো. রিয়াজুল কবির।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আয়োজিত এ মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল বিমান দুর্ঘটনা মোকাবেলায় নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং পরস্পরের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বিমান দুর্ঘটনা মোকাবেলা করার দক্ষতা অর্জন করা।

মহড়ায় অংশ নেয় শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফায়ার শাখা, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ আনসার ও বিএনসিসি।

এছাড়া অংশ নেয় চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, নৌবাহিনী হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, আনজুমানে মফিদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্যরা।

আইসিএও এর সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর জন্য বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জন্য ২ বছরের মধ্যে অন্তত একবার এ ধরনের মহড়ার আয়োজন করতে হয়।

কে/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh