• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইউপি নির্বাচনে মা-মেয়ের লড়াই

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১৩:৫৯
ইউপি নির্বাচনে মা-মেয়ের লড়াই
মা ও মেয়ে

গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যপদে মাকে জয়ী করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন মেয়ে। ফলাফলও এসেছিল নিজেদের পক্ষে। তবে এবার একই পদে নির্বাচনে মায়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন মেয়েও।

এ ঘটনা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের ৪ নম্বর নিয়ামতপুর ইউপি নির্বাচনে। ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর মিলে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সদস্যপদে মা হুরজান বেগম (৬০) আর মেয়ে আজিজা বেগম (৩৮) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মা-মেয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

হুরজান বেগম ও আজিজা বেগম ইউনিয়নের নগর-চাপরাইল গ্রামের বাসিন্দা। আজিজা বেগমের বাবা ওয়াজেদ আলী পেশায় একজন কৃষক।

ওয়াজেদ আলী জানান, তার বাড়ি চাপরাইল গ্রামে। প্রায় ২৫ বছর আগে স্ত্রী হুরজান বেগমের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। সেই থেকে নগর-চাপরাইল গ্রামে বসবাস করেন। বিচ্ছেদের সময় হুরজানের ঘরে দুটি সন্তান ছিল। এক ছেলে আর এক মেয়ে। ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ব্যবসা করেন আর মেয়ে আজিজা বেগম একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তার বিয়ে হয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখ গ্রামে। স্বামী মো. কামরুজ্জামানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতেই থাকেন। বর্তমানে মা-মেয়ে একই বাড়িতে বসবাস করছেন। ওয়াজেদ আলী পরবর্তী সময়ে আরেকটি বিয়ে করে সংসার করছেন।

আজিজা বেগমের ভাষ্য, গতবারের নির্বাচনে তিনি মাকে বিজয়ী করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। দিনরাত পরিশ্রম করে ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের পর মা সবকিছু ভুলে গিয়েছিলেন। পরিবারের প্রতি তিনি কোনো খোঁজ রাখেননি। এমনকি একটা মানুষের সহযোগিতা করার কথা বললে তিনি তা রাখেননি।

পরিষদ থেকে পাওয়া সাহায্য-সহযোগিতা মা তার ইচ্ছে মতো মানুষের জন্য করেছেন, তিনি কাউকে সহযোগিতা করার কথা বললে সেটা রাখেননি। তা ছাড়া মা গত নির্বাচনের সময় বলেছিলেন, এবারের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন না। মেয়ে হিসেবে তাকে প্রার্থী করবেন, কিন্তু ভোটের সময় তিনি কথা না রেখে নিজেই প্রার্থী হয়েছেন।

মা হুরজান বেগম বলছেন, তিনি বর্তমান ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। গত নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এবারও নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ আরও ৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে তার মেয়ে আজিজা বেগম রয়েছেন। ৫ বছর তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সাধারণ মানুষ তার পক্ষে রয়েছেন। এই সময়ে তিনি ভোটের মাঠ তৈরি করে রেখেছেন। এখন মেয়ে কোনো কথা না শুনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

হুরজান বেগম জানান, মেয়েকে বড় করেছেন। মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ালেখা করিয়েছেন। একটা চাকরির ব্যবস্থাও তিনি করে দিয়েছেন। এখন অন্যের প্ররোচনায় তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন।

তিনি জানান, যে জমিতে মেয়ে-জামাই থাকেন, সেটাও তার নামে দলিল করা। তার দুই নাতনি রয়েছে। বড় নাতনি সুমাইয়া আক্তারকে তিনিই বিয়ে দিয়েছেন। আর ছোট নাতনি সোহানা আক্তার নবম শ্রেণিতে পড়ছে। বর্তমানে পরিবারে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ ছিন্ন হওয়ার উপক্রম।

তিনি আরও জানান, একটি মহল ইউনিয়নে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে মেয়েকে ইন্ধন দিয়ে প্রার্থী করেছেন। যা মেয়ের বোঝা উচিত।

জিএম/এসকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইউপি নির্বাচনে এমপির হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সুষ্ঠুভোট নিয়ে শঙ্কা 
নতুন বছর অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বায়ার্নকে রুখে দিলো আর্সেনাল
ড্রয়ে শেষ রিয়াল-সিটির লড়াই
X
Fresh