• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

এসএসসির ফরম পূরণ করতে এসে দেখলেন জেএসসি ফেল

নীলফামারী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৫:২৯
এসএসসির ফরম পূরণ করতে এসে দেখলেন জেএসসি ফেল
ফাইল ছবি

নবম ও দশম শ্রেণিতে দুই বছর যথারীতি লেখাপড়া করে ক্লাস পরীক্ষা ও টেস্টে পাস করে এসে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের পর মোসাদ্দেক আলী নামে এক শিক্ষার্থী জানতে পারলো জেএসসিতে সে ফেল করেছে। আর জেএসসিতে ফেলের কারণে এবার এসএসসি পরীক্ষায় সে অংশ নিতে পারছে না। এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে।

এদিকে ওই শিক্ষার্থীর বিগত প্রায় চার বছরের সব পরিশ্রমসহ শিক্ষাজীবনের চরম বিপর্যয় ঘটলেও নির্বিকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। নিজেদের ভুল স্বীকার করার পরিবর্তে তারা উল্টো মৃত প্রধান শিক্ষকের দোহাই দিয়ে অভিভাবককেই দোষারোপ করে চলেছেন। এতে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অসহায় দরিদ্র পরিবার।

শুক্রবার (২৯অক্টোবর) বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের কাঠারীপাড়া গ্রামের মোছা. মুক্তা বেগম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, তার ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। কিন্তু স্কুল থেকে জানানো হয় সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। কারণ অষ্টম শ্রেণিতে জেএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে ফেল করেছিল। সে বিষয়ে সম্পূরক পরীক্ষা না দেওয়ায় তার জেএসসির সনদপত্র পাওয়া যায়নি।

তিনি আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের আগামী ১৪ নভেম্বর এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ফরম ফিলাপ বাবদ যথারীতি টাকাও অফিস সহকারীকে জমা দেয়। কয়েকদিন আগে স্কুলের কেরানি রাসেদুল ইসলাম বোর্ডে সামান্য ভুল আছে তা সংশোধনের জন্য এক হাজার টাকা চেয়ে নেন আমার কাছে। আমি সেটাও দিলাম, ভাবলাম অফিসের কোনো সমস্যা থাকতে পারে। অথচ গত দুদিন আগে আমার ছেলেকে ডেকে অফিস সহকারী বলেছে, তুমি পরীক্ষা দিতে পারবে না। তোমার সমস্যা কোনোভাবেই সমাধান সম্ভব হলো না।

তিনি আরও জানান, আমার ছেলে অষ্টম শ্রেণিতে ফেল করে থাকলে তাকে কীভাবে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয় এবং কেমন করে সে নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করল এবং টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে পাসও করল? এতদিন তারা বিষয়টি কেন জানাননি? কেন তারা আমার ছেলের জীবনের এত বড় ক্ষতি করল? এর দায় কার? এখন তারা বলছে এতদিন যা খরচ হয়েছে তা ফেরত দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্কুলের অফিস সহকারী রাসেদুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, যা করেছি প্রধান শিক্ষক মৃত. মোখলেছুর রহমানের নির্দেশেই করেছি। ভুল হয়ে থাকলে তা প্রধান শিক্ষকের। এ ক্ষেত্রে আমার কোনো দোষ নেই।

নবম শ্রেণিতে ভর্তির সময় কেন তার কাগজপত্র না দেখেই তাকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি মিসটেক হয়েছে। অনেক সময় এমন হয়।

সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেহেনা ইয়াসমিন আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো বিষয় তার জানা নেই। তবে এমন হয়ে থাকলে তা সদ্য মৃত প্রধান শিক্ষক কীভাবে করে গেছেন তা তদন্ত করে দেখতে হবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অফিস সহকারী যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, তা হলে তার ব্যাপারেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমআই/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বস্তায় হাত দিতেই ছোবল, প্রাণ গেল ৩ সন্তানের জননীর
চট্টগ্রাম টেস্টের আগে লঙ্কান শিবিরে দুঃসংবাদ
মাহির ছেলের জন্মদিনে যে বার্তা দিলেন পরীমণি
সর্বনিম্ন ১০০ টাকায় দেখা যাবে চট্টগ্রাম টেস্ট
X
Fresh