দলীয় মনোনয়ন পেয়েই অপর প্রার্থীর কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেয়েই অন্য নৌকাপ্রত্যাশী প্রার্থীর কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে গত সোমবার সকালে রাজবাড়ীর কালুখালী থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ এ ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ২৮ নভেম্বর কালুখালীর সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন চেয়েছেন একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা।
যার মধ্যে কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম আলী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়র ঠান্ডু রয়েছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের বিশই সাওরাইল গ্রামের নান্নু মোল্লার ছেলে মাসুদ রানাকে মারপিট করা হয়েছে বলে সাওরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার ঠান্ডু অভিযোগ করেন। আহত মাসুদ রানা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত মাসুদ রানার দাবি, শহিদুল ইসলাম আলী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সংবাদে রাস্তায় আনন্দ মিছিল বের করে। আমি রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মিছিল থেকে বিশই সাওরাইল গ্রামের আমিরুল, রঞ্জু, ইনদাদসহ বেশ কয়েকজন লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ঠান্ডু বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। আমার অনেক কর্মী সমর্থক রয়েছে; যারা নৌকার পক্ষে কাজ করবে।
কিন্তু আলী আমার কর্মীর ওপর হামলা করেছে। এই ঘটনার জন্য সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
হামলার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাওরাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম আলী বলেন, আমার ঘাড়ে বদনাম চাপানোর জন্য ওরা কৌশলে পরিকল্পিতভাবে নিজেরাই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি নৌকা মনোনয়ন পেয়েছি। আমি কেন সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থীর কর্মীর গায়ে হাত তুলতে যাব।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এসএস/টিআই
মন্তব্য করুন