শরীয়তপুরে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় শত শত যানবাহন
শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যানবাহন। চট্টগ্রামে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ওরস ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা, স্থলবন্ধর বেনাপোল ও ভোমরা, নৌবন্দর মোংলা ও পায়রাবন্দরসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ও চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট দিয়ে মেঘনা নদী পারাপার হয় এসব ট্রাক ও বাস।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফে ওরস ও বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় এই রুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে নরসিংহপুর ফেরি ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে যানবাহন পারাপারের জন্য ঘাটে ৬টি ফেরি আছে। ২৪ ঘণ্টায় নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে প্রতিটি ফেরি ছয় থেকে সাতবার নদী পার হয়ে থাকে। বাংলাবাজার-মাওয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই রুটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত পারাপার না হতে পেরে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে অন্তত এক হাজার গাড়ি আটকা পড়ে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের টিএস মো. আব্দুল হান্নান জানান, মাদারীপুর বাংলাবাজার-মাওয়া এবং শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি বন্ধ থাকায় এবং চট্রগ্রামে মাইজভান্ডারির গাড়ি বেশি হওয়ায় গত সোমবার থেকে ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। যাত্রীবাহী ও কাঁচামাল বহনকারী গাড়ি আগে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই ঘাটের যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জিএম/এসকে
মন্তব্য করুন