ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে মাদরাসায় যাওয়ার 'অপরাধে' ৩০ বেত্রাঘাত!
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় এক শিক্ষার্থী (১২) ছেঁড়া পাঞ্জাবি পরে মাদরাসায় আসার কারণে ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে বেত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গন্ধব্যপাড়া তাহফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা সদরের জমশেদ আলীর ছেলে হাফেজ আব্দুল মাজেদ। তিনি ঘটনার পর গা-ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আহত শিক্ষার্থী উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সলিমনগর ভড়পাড়া গ্রামের শামীম আল মামুন পীর সাহেবের ছেলে সাবির মাহমুদ। তাকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সাবির মাহমুদের পরিবার জানান, সাবিরের শরীরে ৩০টি বেত্রাগাতের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। সন্ধ্যায় সাবির বাড়িতে গেলে পাঞ্জাবি খোলার পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। পরে সাবিরের অভিভাকরা মাদরাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করেন। একই সঙ্গে ইউএনও'র নির্দেশে সাবিরের বাবা মির্জাপুর থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।
এদিকে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওই মাদরাসার পরিচালক ও শিক্ষকদের ডেকে আনেন। সেখানে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মাজেদকে মাদরাসার থেকে অব্যহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তাহফীজুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদরাসার পরিচালক মাহবুবুর রহমান সোহেল আরটিভি নিউজকে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিনের অফিসে বসা হয়েছিল। তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন