• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পাচারের ৪৫ বছর পর দেশে ফিরতে চান কোমো খাতুন (ভিডিও)

  ১২ অক্টোবর ২০২১, ১৫:০৭
পাচারের ৪৫ বছর পর দেশে ফিরতে চান কোমো খাতুন
সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কোমো খাতুনের পাশে তার প্রতিবন্ধী স্বামী

মাত্র আট বছর বয়সে পাকিস্তানে পাচার হন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার শিশুকন্যা কোমো খাতুন। সেখানে বিক্রি করা হয়েছিল আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবুপাড়ার মৃত শেখ মনির উদ্দীনের মেয়ে কোমো খাতুনকে। পাকিস্তানের করাচিতে বসবাসকারী কোমো খাতুনের এখন বয়স ৫৭ বছর।

গত তিন দিন পূর্বে পাকিস্তান টুডে নামক ইউটিউব চ্যানেলে ঊর্দু ভাষায় পাকিস্তানি যুবক ওয়ালিউল্লাহ মারুফকে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এসব তথ্য জানান কোমো খাতুন। জীবন একবারের জন্য হলেও বাংলাদেশে তার পরিবারের কাছে ফেরার আকুতি প্রকাশ করেন তিনি। সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে কোমো খাতুনের পাশে তার প্রতিবন্ধী স্বামীকে বসে থাকতে দেখা গেছে।

কোমো খাতুন বলেন, ১৯৭৫ কিংবা ৭৬ সালের দিকে তার বয়স যখন আট বছর, তখন পাকিস্তান নিয়ে গিয়ে তাকে বিক্রি করে দেয়া হয় ৫৫ হাজার টাকায়। যে ব্যক্তি তাকে ক্রয় করেন তিনি তার প্রতিবন্ধী ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেন। যখন বিয়ে হয় তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর এবং প্রতিবন্ধী ওই ব্যক্তির বয়স ছিল ৩০ বছর। তিনি গত ৪৫ বছর ধরে প্রতিবন্ধী স্বামীর সংসার করছেন।

কোমো খাতুন আরও জানিয়েছেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে শত্রুতার জের ধরে বাংলাদশি এক মহিলা তাকে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যান। পরে সড়কপথে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যান। সেখান তিন বছর ধরে নানাভাবে নির্যাতনের পর তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। শুধু তিনি একা নন, সেই সময় আরও অনেক বাংলাদশি মেয়ে একসঙ্গে এভাবে অপহরণের শিকার হন।

তিনি আরও বলেন, তারা ৫ বোন ও ২ ভাই। তাদের মধ্যে ৪ বোন ও ২ ভাই আলমডাঙ্গা বাবুপাড়ায় থাকেন। তিনি মেজো বোনের নাম বলেছেন আমিরন।

এদিকে উর্দু ভাষায় এ সাক্ষাৎকার ভিডিওটি কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর বাবুপাড়ার আলী আজগর সাচুর নজরে আসে। তিনি খুঁজে বের করেন পাচার হওয়া কোমো খাতুনের পরিবারকে।

সাবেক কাউন্সিলর বাবুপাড়ার আলী আজগর আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে কোমো খাতুনের বাবা শেখ মনির উদ্দীন মারা গেছেন। মারা গেছেন তার দু ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই ও ৫ বোনের এক বোন। বেঁচে আছেন একমাত্র ভাই মজিবর রহমান। বোন কোমো খাতুনের সন্ধানের খবর পেয়ে আমার বাড়ি ছুটে আসেন তার দুই বোন সাজেদা খাতুন ও শুকুরন নছা।

কোমো খাতুনের স্মতিচারণ করে তার বোন সাজেদা খাতুন আরটিভি নিউজকে বলেন, কোমো ছিলেন সুন্দরী। তার মাথায় অনেক বড় চুল ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন হয়তো মারা গেছেন। হারানো বোনকে ফিরে পেতে সবার সহযাগিতা চান তারা।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান টুডে নামক ইউটিউব চ্যানেলের ওয়ালিউল্লাহ মারুফ সহযোগিতা করলে খুব সহজে দেশে আসতে পারবেন কোমো খাতুন। পাকিস্তান-বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে সহজই তা সম্ভব হব। তাছাড়া আমাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হল তা করা হবে।

এমআই/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় বিয়ের ৪দিন পর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা!
ছেলেকে পাশে নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন অভিনেত্রী
স্ত্রীকে টয়লেট ক্লিনার খাওয়ানোর অভিযোগ তুললেন ইমরান
বিয়ে না করেও ৩ সন্তানের মা মিমি চক্রবর্তী
X
Fresh