• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বিএনপির কোন্দল চরমে, কেন্দ্র থেকে টিম যাচ্ছে মৌলভীবাজারে

চৌধুরী ভাস্কর হোম, মৌলভীবাজার

  ১৬ মে ২০১৭, ১৯:০৩

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির বেহাল দশা। নেতাকর্মীরা চলছে যে যার মতো। কমিটি গঠন নিয়ে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরোধ। দলের অনেক কর্মসূচি পালন করা হয় না, হলেও দায়সারাভাবে।

বর্তমানে দুই গ্রুপে বিভক্ত মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি। একটি হলো সভাপতি সাবেক অর্থমন্ত্রী, প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের পুত্র এম নাসের রহমান। অপর গ্রুপটি হলো সাধারণ সম্পাদক খালেদা রব্বানীর।

অভ্যন্তরীণ এ দ্বন্দ্বে দীর্ঘ ৮ বছর ধরে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠন করতে পারেনি জেলা নেতৃবৃন্দ। ঝিমিয়ে পড়েছে সাধারণ নেতাকর্মীরা। ফলে দলীয় কার্যক্রমে তারা রয়েছে অনুপস্থিত। তবে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে কেন্দ্র থেকে টিম আসছে মৌলভীবাজারে। কেন্দ্রের এই উদ্যোগে সরব হবার প্রহর গুনছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির সম্মেলনের পূর্বে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সমন্বয়ে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে একটি কমিটির অনুমোদন দেয়। ওই সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার এই কমিটির অনুমোদন দেন। এ কমিটির সভাপতি হন সাবেক অর্থমন্ত্রী, প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের পুত্র এম নাসের রহমান। অপর গ্রুপ থেকে খালেদা রব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সভাপতি বলয়ের আব্দুল মুকিতকে করা হয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এরপর শুরু হয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। সমস্যার সমাধানে একাধিকবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মৌলভীবাজারে এলেও পরস্পর বিরোধী অবস্থানের হেরফের ঘটেনি।

জেলা বিএনপির গ্রুপিংয়ে যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটে দুইটি করে কমিটিও দেখা যায়।

সম্প্রতি জেলা পর্যায়ের ৭৫ ইউনিটকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র থেকে ৫১টি টিম গঠন করা হয়। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির দলীয় কোন্দল নিরসন ও রাজনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধির দায়িত্ব পড়েছে কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের উপর। এ নেতা দলীয় কোন্দল নিরসনে কোন ওষুধ নিয়ে মৌলভীবাজারে আসেন সে অপেক্ষায় রয়েছেন রাজনৈতিকভাবে ঝিমিয়ে পড়া স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

চলতি মাসেই মোহাম্মদ শাহজাহান মৌলভীবাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানা যায়।

জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকিত বলেন, জেলা বিএনপির কমিটি অনুমোদন হয়নি দীর্ঘ ৮ বছরেও। এ জটিলতার অবসানে জেলা বিএনপির সভাপতি লন্ডন থেকে আসার পরে কেন্দ্রে কথা বলবেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল করিম ময়ূন ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানূর রহমান বলেন, বিএনপির মতো একটি জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের এমন অবস্থা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য কাঙ্ক্ষিত নয়। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের দিক নির্দেশনায় অভ্যন্তরীণ ভুল বুঝাবুঝির অবসান হবে। একই সঙ্গে নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে বিএনপি সরব হয়ে উঠবে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খালেদা রব্বানী মোবাইল ফোনে বলেন, রাজনীতিতে সহনশীলতার বিকল্প নেই। কেন্দ্রীয় নেতার নির্দেশনায় সকল নেতাকর্মী এক যোগে কাজ করবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh