• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আবারও সেরা পঞ্চগড়ের এসপি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:২৩
আবারও সেরা পঞ্চগড়ের এসপি
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী রংপুর রেঞ্জের আট জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এ নিয়ে তিনি একাধিকবার শ্রেষ্ট পুলিশ সুপার পুরস্কারে ভূষিত হন। রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য আগস্ট মাসের জন্য বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপারের এ ঘোষণা দেন।

মঙ্গলবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় রংপুরের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মাসিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ের সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

আগস্ট মাসে পঞ্চগড় জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যথার্থ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখায় তাকে এই শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় ডিআইজি অফিসের কর্মকর্তা ও রংপুর বিভাগের আট জেলার পুলিশ সুপাররা সংযুক্ত ছিলেন।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্যের নির্দেশনায় পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে বদলে গেছে পঞ্চগড়ের সকল থানায় পুলিশের সেবা।

তিনি ২০১৯ সালের ৮ জুলাই পঞ্চগড়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেয়ার পরই থানাগুলোর চিত্র বদলে যেতে শুরু করে। বদলে যায় পুলিশের আচরণ। দীর্ঘদিনের পরিবেশ বিধ্বংসী পাথর উত্তোলন ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতীতে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামেও যা বন্ধ করা যায়নি।

এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পুলিশি সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা আরটিভি নিউজকে বলেন, এই এসপি যোগদানের পর থেকে কোনো টাকা পয়সা লেনদেন ছাড়াই মানুষ সব সেবা পাচ্ছেন। এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস নির্মুলসহ নানা কাজে পুলিশ ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে।

বর্তমানে জেলার পাঁচ থানার ওসিরাও বর্তমানে কাজের ক্ষেত্রে অনেকটা স্মার্ট। রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য আসারা পরে
সম্প্রতি জেলায় মাদক জুয়া সীমান্তে ভারতীয় গরু উদ্ধার অভিযানেও সফল হয়েছে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ। আইনগত সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষেরা খুশি। পুলিশের সেবা নিতে আসা অনেকেই তার এমন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব কাজের কথা তুলে ধরছেন। প্রতিদিন ডিউটিরত অফিসার ও প্রহরীর কাছে খোঁজ নেন কোনো মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। এর ফলে থানায় কর্মরত সব পুলিশের মধ্যে সাধারণ মানুষের প্রতি ভাল ব্যবহার করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়েছে। অফিস থেকে সিসি ক্যামেরায় থানাগুলোর কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরার কল্যাণে বেশকিছু অপরাধী ধরা পড়েছে। ফলে অপরাধও কমে এসেছে।

থানাগুলোতে সেবা নিতে আসা একাধিক লোকজন আরটিভি নিউজকে জানান, জেলার থানাগুলোতে অভিযোগ নিয়ে গেলে ডিউটি অফিসাররা মনোযোগ সহকারে ভুক্তভোগীদের কথা শুনে অভিযোগ লিখে নেন। কোনো ধরনের টাকা ছাড়াই অফিসাররা তা গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।

পুলিশ সদস্যদের বদলি নিতে এখন আর কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী পরিদর্শকদের বিভিন্ন মানদণ্ড বিচার করে নম্বর প্রদান করা হয়। এই নম্বরের ভিত্তিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। কেউ চাইলে পছন্দের জায়গায় যেতে পারছেন না।

শুধ কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা নিয়ন্ত্রণ? পুলিশ সুপারের নেতৃত্বেই পঞ্চগড়ের পুলিশ মানবিক পুলিশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। করোনায় অসহায় মানুুষের বাড়িতে বাড়িতে রাতের আঁধারে গোপনে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। রেলস্টেশন ও মাঠের মধ্যে পড়ে থাকা মানুষকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

আটোয়ারীতে বাজারে পড়ে থাকা এক অসহায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। করোনায় পরিবহণ বন্ধ। পঞ্চগড়ের চাষীরা সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েন। তিনি অন্য জেলার ব্যবসায়ীদের পঞ্চগড়ে এনে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশের অন্য জেলায় সবজি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কৌশলে একাধিক হত্যা মামলার আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অসুস্থ্য কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকেও আর্থিক সহায়তা করেছেন। রমজানে ও করোনায় গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য বাড়িতে বাড়িতে উপহার পাঠিয়েছেন।

সদর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ মিঞা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, 'পুলিশ জনগণের বন্ধু, পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ' এই স্লোগানে এসপি ও ডিআইজি স্যারের মোটিভেশন ও নির্দেশনা দিয়ে পুলিশকে জনমুখী করার কাজ চলমান রেখেছেন। থানায় এসে মানুষ যাতে সর্বোচ্চ সেবা পায় সে চেষ্টায় করে যাচ্ছি। আগামীতে যেন সেবার মান আরো বৃদ্ধি করতে পারি তার জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আইজি ও ডিআইজি স্যারের নির্দেশনায় পঞ্চগড়ের পুলিশকে জনবান্ধব, হয়রানিমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। মানুষের প্রথম ভরসার স্থল হবে থানা। পুলিশের সেবা নিন। সেবা দিতে কেউ হয়রানি, দুর্নীতি বা অনিয়ম করলে জিরো টলারেন্স। অভিযোগ পেলে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিআইজি অফিস থেকে মূল্যায়ন করে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রাক্টরের সংঘর্ষ, নিহত ২
বাবুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় খুন হন মিতু
পঞ্চগড়ে গাছের ডালের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
পর্যটকদের মারধর, এএসপি বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
X
Fresh