• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

ঢাকায় কবর হারিয়ে যাচ্ছে

আরটিভি নিউজ

  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:০৫
ঢাকায়, কবর, হারিয়ে, যাচ্ছে

মৃত্যুর পর মানুষের শেষ ঠিকানা কবর।কিন্তু সেই কবর রক্ষার জন্য দিতে হয় টাকা। তা না দিলে অস্তিত্ব থাকেনা সেই কবরের। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় কবরের শেষ চিহ্নটুকুও। সত্যিই অবাক হওয়ার মতো খবর!

আর এমনটাই ঘটছে আজিমপুর কবরস্থানে। টাকা না দিলে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন হওয়া কবরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।কবর রক্ষার জন্য দিতে হয় টাকা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানালেন আরমানুল হক নামে এক ব্যক্তি।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই ব্যক্তি তার বাবাকে নিয়ে আজিমপুর কবরস্থানে যান মেয়ের কবর যিয়ারত করতে। তখন অনেক খোঁজাখুজির পরও পেলেন না মেয়ের কবর।যারা দায়িত্বে রয়েছেন কবরের বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান টাকা না দিলে কবর থাকেনা।

আরমানুল হকের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিচে দেয়া হলো......

আজকে বাবাকে নিয়ে আজিম্পুর কবরস্থানে গেলাম, আমি আমার বাচ্চার কবর দেখার জন্য, আব্বু তার বাবার কবর। ব্যাপার টা কেন বলছি, তাও জানবেন। অনেক দূর হেটে যখন কবর এর কাছে গেলাম, দেখলাম আমার বাচ্চার কবর নাই, ২০১৮, ২০১৯, নাই, নাই মানে নাই উধাও, আমি ভাবলাম হইত ভুল লাইন এ চলে আসছি, পরের লাইন এ গেলাম, দেখি নাই, কিছু কবর দেখলাম ২০১৫, ২০১৩, ২০১৬, কিন্তু আমার ২০১৮, ২০১৯ নাই। আব্বু বলে, আছে হই হইত, আগে দাদার কবরটা দেখে আশি, গেলাম সেখানেও কবর নাই, ২,৩,৪,৫,৬,৭ লাইন খুজলাম নাই। ওখানে যারা কবর খুরেন, বা দেখাশোনা করেন, তাদের বললাম কবর নাই কেন ভাই? বলে কাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন? বললাম ইকবাল নামের একজনতো দেখত, এখন তাকে তো ফোনে পাচ্ছিনা, বলে টাকা দিসিলেন? টাকা না দিলে কি কবর থাকে নাকি? বললাম, দেই না দেই, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫,২০১৬ ১৭ এর কবর দেখলাম কত, ২০১৮,২০১৯ থাকবেনা টাকা দিসি নাকি দেই নাই এর জন্য? বলে অফিস যেয়ে কথা বলেন।

আব্বু বলল থাক, কিন্তু আমি গেলাম অফিসে, বললাম ২০১৮,২০১৯ এর কবর নাই কেন? একটা শরীরের মাংস শেষ হতে ৩ বছর লাগে, অফিসও একই প্রশ্ন করে, কাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন? টাকা দিসিলেন দেখাশুনা করার জন্য? বললাম টাকা না দিলে কি কবর উঠায় ফেলবে? এমন নিয়ম? বলে কবর ত উঠাবেই, বাচ্চার কবর ত বেশিদিন লাগেনা পচতে। আমি বললাম টাকা দিলে সময় নিয়ে পচে? যাদের ২০১৩ এর কবর দেখতে পারতেসি, তাদের তা এখন পচে নাই, কারন তারা তো টাকা দিচ্ছে। এক পর্যায়ে রুম এ উত্তেজনা ছড়ায় গেলো। কিছু না বলে রাগ টা কন্ট্রোল করে, বের হতে না হতেই বলে বসলেন, "একটু বখশিস দিলে ২০,৩০ বছর ও রাখা যায়"

এবার আর মাথা ঠান্ডা রাখি কেমনে? বললাম, কবর কিনতে হলেতো কিনেই ফেলতাম, কিন্তু এভাবে এক বছর, ২ বছর এর কবর বখশিস এর কারনে তুলে ফেলা হলো, এইটা মানতে পারলাম না। বাচ্চার নাম লেখা সাইন বোর্ড টা অন্তত দিন আমাকে?

বাংলাদেশে, অনেক সরকারি অফিস থেকে শুরু করে, মৃত্যু পর্যন্ত বখশিস, একটু খুশি করে যান এই ব্যাপার টা চলতেসে, একদিন এমন ভাবে ধরব, খুশির জায়গায়, যে জিবনের চরম সুখ অতিক্রম করে যাবে।

এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
১৭ কবরের মাটি সরানো, এলাকায় চাঞ্চল্য
বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত অবন্তিকা
একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি
কবিরাজি চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ
X
Fresh