কলেজছাত্র সোহাগ হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
বরিশালের উজিরপুরে কলেজছাত্র সোহাগ সেরনিয়াবাত হত্যা মামলায় ২ জনকে ফাঁসি এবং ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টি এম মুসা এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন, জিয়াউল হক লালন ও রিয়াদ সরদার। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ইমরান, মামুন, বিপ্লব ও ওয়াসিম সরদার।
মামলার বিবরণে বলা হয়, বরিশালের উজিরপুর পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের হোসেন সেরনিয়াবাতের ছেলে সোহাগ সেরনিয়াবাত ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হযন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বন্ধুকে বাসায় এগিয়ে দিয়ে ফেরার পথে আসামিরা উজিরপুরের রাখালতলা এলাকায় তার উপর চড়াও হয়ে রামদা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
এর আগে আসামিরা ১ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সোহাগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে। পরে নিহতের মামা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে উজিরপুর থানায় থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ একই বছরের ২২ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করে।
পরে মামলাটি বিচারে এলে আদালত ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ ও আলামত বিবেচনায় আসামি জিয়াউল হক লালন ও রিয়াদ সরদারকে ফাঁসির দন্ডাণ্ডদেশ দেন। এছাড়া আসামি মামুন, ইমরান, বিপ্লব ও ওয়াসিম সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১০ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
নিহতের বাবা ফারুক হোসেন সেরনিয়াবাত বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে যারা বেকসুর খালাস পেয়েছেন তারাও হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রায়ের পূর্ণাঙ্গ আদেশ কপি পেলে তা নিয়ে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা করি হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে উচ্চ আদালত তাদের শাস্তি দেবেন।
জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (বিশেষ পিপি) লস্কর নুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিএম
মন্তব্য করুন