• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

বন্যায় স্কুলের পাঠদান অনিশ্চিত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:৪০
বন্যায় স্কুলের পাঠদান অনিশ্চিত
বন্যায় স্কুলের পাঠদান অনিশ্চিত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও উপজেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

গত কয়েক দিনে উপজেলার তুরাগ নদ, মকশ বিলসহ কয়েকটি বিলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পায়। এতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠে। এ ছাড়া কিছু বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তায় পানি জমে আছে।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে তলিয়ে আছে। কোথাও কোথাও শ্রেণিকক্ষেই ঢুকে পড়েছে পানি। দেড় বছর পর শিক্ষার্থীদের নতুন করে বরণ করে নিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত হচ্ছিলো।

এসব এলাকার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন, বেঞ্চ, জানালা-দরজা মেরামত, বেসিন স্থাপন ও রঙের কাজ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের চারপাশের আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। বিদ্যালয় খোলার আনন্দে শিশুরাও হয়ে ওঠেছে প্রাণচঞ্চল। বন্যার কারণে সেই আনন্দে ভাটা পড়েছে।

উপজেলার নামাশুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় তিন ফুট পানি জমে আছে। ঢালজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেওয়াইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় সব বিদ্যালয়ের একই অবস্থা। অনেক জায়গায় একেবারে ডুবে গেছে। আবার কোনোটির মাঠ পর্যন্ত পানি ওঠেছে। একই অবস্থা দেখা গেছে মৌচাক ইউনিয়নের বাঁশতলী ও কুন্দাঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়েও।

উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

এ ছাড়া ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি সরকারি কলেজ, ৫টি অষ্টম শ্রেণিকৃত বিদ্যালয়, ১টি বেসরকারি কলেজ ও ২টি কারিগরি ইনস্টিটিউট আছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে।

নামাশুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, প্রায় দেড় বছর শিক্ষার্থীদের দেখি না। দীর্ঘদিন পর তাদের সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে। আবার সেই মজা হবে। কিন্তু বন্যার কারণে সবার মন খারাপ হয়ে গেছে।

দেওয়াইর বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, তাদের এলাকায় প্রতিবছরই বন্যায় রাস্তা ও স্কুলগুলো ডুবে যায়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পাঠদানের প্রস্তুতি রয়েছে।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় যুবক নিহত
সেই ইজিবাইকচালকের পাশে দাঁড়াল র‌্যাব
ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
প্রাইভেটকারের চাপায় ভ্যানচালক নিহত
X
Fresh