• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করে কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান চালক, চা দোকানদার সর্বস্বান্ত 

টাঙ্গাইল (দক্ষিণ) প্রতিনিধি

  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:৩২
ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করে কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান চালক, চা দোকানদার সর্বস্বান্ত 

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করে একই গ্রামের দুই শতাধিক গ্রাহক সর্বস্বান্ত হয়েছেন। দ্বিগুণ মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই কোম্পানিটি।

উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামে ভুক্তভোগীরা জানান, ওই গ্রামের ১০০ জন গ্রাহক ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান থানায় ও ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, ওই গ্রামের কৃষক, দিনমজুর, ভ্যান চালক, প্রবাসী, প্রবাসীর স্ত্রী, চায়ের দোকানদারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কমপক্ষে দুই শত গ্রাহক ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করেছেন। এদের প্রকৃত বিনিয়োগকৃত মূলধন প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে ই-অরেঞ্জের কাছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার পণ্য পাওনা রয়েছেন তাদের।

ইছাদিঘী গ্রামের মোহাম্মদ আলী আজাদের ছেলে নাসিদুল ইসলাম প্রথমবার ই-অরেঞ্জে ৯১ হাজার টাকা করে ৬টি মোটরসাইকেল অর্ডার করেন। প্রতিটি মোটরসাইকেল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে বিক্রি ভাউচারের মাধ্যমে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু পরে আরও বিনিয়োগ করে ধরা খেয়েছেন।

জাহানারা বেগম নামে এক বিধবা কলাবাগানে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালায়। দ্বিগুণ লাভের আশায় তিনিও সঞ্চয় করা ২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এভাবে ওই এক গ্রামেই দুই শতাধিক গ্রাহক ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা প্রতারিত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে ওই গ্রামের বাসিন্দা গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আমাদের গ্রাম থেকে আনুমানিক হিসেবেই দুই শতাধিক মানুষ প্রায় ১৫ কোটি টাকা ওই প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়েছেন।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া আরটিভি নিউজকে জানান, সখীপুরের এত লোক প্রতারিত হয়েছে তা জানা ছিল না। প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিরা এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh