রায়পুরায় আ.লীগের দু'গ্রুপে টেঁটাযুদ্ধ, নিহত ২

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরার টেঁটাযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এতে ২ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুইজনের নাম জয়নাল ও আরশ আলী। তারা দু'জনেই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমানের সাহেদের সমর্থক।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বাশঁগাড়ী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে যাবৎ বর্তমান আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সাহেদ এর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গেলো ইউপি নির্বাচনে বাশঁগাড়ী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সাহেদ পরাজিত হয়ওয়ার পর উভয় পক্ষের মধ্যে দন্দ্ব চরমে ওঠে।

ইউপি নির্বাচনে জয় পরাজয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। সংঘর্ষে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের সমর্থকদের তোপের মুখে এলাকা ছাড়া হয়ে যায় সাহেদ সমর্থকরা। এই নিয়ে সাহেদ সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা চলে আসছিল। দীর্ঘদিন গ্রাম ছাড়া থাকার পর গেলো মাসে সাহেদ সমর্থকরা গ্রামে ফেরার উদ্যেগ নেন।

এই খবরে সিরাজুল হক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে,তারা শক্তি সঞ্চয় করে শক্ত অবস্থান নেয়। এ নিয়ে গত মসে উভপক্ষের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে এক জন নিহত হয় আহত হয় শতাধিক। পরে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেন। প্রশাসনিক তৎপরতায় সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার সকাল থেকেই উভয়পক্ষ সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়। বেলা ১টার দিকে উভয় পক্ষ টেঁটা বল্লম, দা, অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংষর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই জন নিহত হন। গুলিবিদ্ধসহ আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। ওই সময় প্রতিপক্ষরা কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ টি বসত ঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

এ প্রতিবেদন লেখা পযর্ন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউর রহমান বলেন, পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ। এ পযর্ন্ত দুই জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েক জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।

এসজে