• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

মহাপরিকল্পনা শুধু কাগুজেই

সরোয়ার আমিন বাবু ও শাহীনুজ্জামান, চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৭ মে ২০১৭, ২০:৪৮

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কার্যক্রমের ওপর সম্প্রতি একটি মহাপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল ঘোষিত এই মহাপরিকল্পনা নিয়ে বিশেষজ্ঞ এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ কৌতূহলের উদ্রেক করেছে। তারা বলছেন চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আদৌ এসব পরিকল্পনা যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান তারা। আর এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সক্ষমতা তাদের রয়েছে।

যা আছে মহাপরিকল্পনায়

মহাপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের ইপিজেড থেকে দক্ষিণ কাট্টলি রাসমনি ঘাট পর্যন্ত সমুদ্র তীরবর্তী স্থানে বে টার্মিনাল নির্মাণ। ২০২১ সালের আগেই এর প্রথম পর্বের নির্মাণ কাজ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ শেষ করা। এরপর তৃতীয় ধাপের নির্মাণ কাজ শুরু করা।এছাড়া রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করা এবং ভারতের সেভেন সিস্টার ও চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেয়া। তা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়। কার্গো এবং কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং প্রবৃদ্ধি সামাল দেয়ার জন্য ২০১৯ সালের মধ্যেই ৬০০ মিটার দীর্ঘ পতেঙ্গা টার্মিনাল নির্মাণ শেষ করা।

আরো আছে ৮৭০ মিটার দীর্ঘ কর্ণফুলী কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ। এজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে সরকার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সমঝোতা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে ৮২০ মিটার দীর্ঘ লালদিয়া মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল আগামী বছরের মাঝামাঝি শুরু করাও ছিল ওই পরিকল্পনায়। মিরশরাইয়ে একটি জেটি নির্মাণ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্লোটিং হার্বার নির্মাণ এবং কক্সবাজার এলাকায় ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা আছে এতে।

বন্দর সংরক্ষিত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সম্পূর্ণ এলাকা সিসিটিভি কভারেজের আওতায় নিয়ে আসা; ‘চট্টগ্রাম বন্দর এবং জাপানের কোবে পোর্টের সাথে ‘সিস্টার পোর্ট’ সম্পর্কের উপর শীঘ্রই ‘এমওইউ’ স্বাক্ষর করা; চট্টগ্রাম বন্দরের ট্রেনিং সিস্টেম এবং ট্রেনিং ইস্টিটিউটের উন্নতির জন্য নেদারল্যান্ড সরকারের এক মিলিয়ন ডলারের অনুদান প্রাপ্তির আশা; কর্ণফুলীর নাব্যতা ফেরাতে সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা এসবও ছিল পরিকল্পনায়।