• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নাইক্ষ্যংছড়ি-দোছড়ি সীমান্ত সড়ক খালের পেটে

বান্দরবান প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৩:৫৯
নাইক্ষ্যংছড়ি-দোছড়ি সীমান্ত সড়ক খালের পেটে
ছবি: আরটিভি নিউজ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া ইউনিয়ন দোছড়ি যাওয়ার একমাত্র সড়কটি খালের পেটে বিলীন হতে যাচ্ছে। ফলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে রামু উপজেলার কচ্চপিয়া ইউনিয়ন হয়ে দোছড়ি সীমান্তের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।

সম্প্রতি টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের কারণে এ সড়কের নারকেল বাগানস্থ দৌছড়ি খালের ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কবলে পড়ে খালের দক্ষিণকুল এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকার বসতবাড়ি যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম টিপু জানান, সড়কের ভাঙনের জায়গাটি রামু উপজেলার হলেও নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধীনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নে সীমান্তরক্ষী বিজিবির ৬টি বিওপি ক্যাম্প রয়েছে। ওই ক্যাম্পে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। উক্ত সড়ক দিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত আছেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা।

এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত এ সড়ক দিয়ে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সীমান্ত সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার ফলে সীমান্ত সুরক্ষার নিয়োজিত বিজিবিসহ লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

স্থানীয় প্রবীণ মুরব্বি মাষ্টার আহমদ আলী আরটিভি নিউজকে জানান, সড়কটি টেকসই উন্নয়ন না করায় প্রতি বছর পড়তে হয় ভাঙনের কবলে। গত ৩ বছর ধরে বর্ষা আসলেই এমন অবস্থা হয়। গেলো বছর ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার কাজ করেন। কিন্তু বছর যেতে না যেতে আবারও নদীর পেটে চলে গেলো। তাই তিনি এবার হলেও দীর্ঘ মিয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী টেকসই উন্নয়নের দাবী জানান।

ভাঙন-কবলিত জায়গা পরিদর্শন শেষে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ আরটিভি নিউজকে জানান, সড়কটি রামু উপজেলার হলেও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কের দৌছড়ি নারিকেল বাগানস্থ খালের ভাঙনের কারণে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণসহ উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল শাহ মো. আব্দুল আজিজ আহমেদ জানান, এলজিইডি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh