• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাবা-মেয়ের আত্মহত্যা: এবার পুলিশ সদরদপ্তরের তদন্ত কমিটি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট, গাজীপুর

  ০৩ মে ২০১৭, ১৭:৪৫

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কর্নপুর সিটপাড়া এলাকায় বাবা মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে নতুন ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি আসছে ৫-৭ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিবে।

বুধবার দুপুরে নিহত হযরত আলীর বাড়ি পরিদর্শন করে এমন তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী মিয়া।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঢাকা) মোসা. সাদিয়া খাতুন, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুলাইমান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঢাকা) মো. আক্তারুজ্জামান।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, বাবা মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরো ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জিআরপি থানায় দায়ের করা মামলায় মঙ্গলবার রাতে শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শহীদ কর্নপুর সিটপাড়া গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে। তবে আটক শহীদের পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, শহীদ এ মামলার কোনো আসামী নন। তাকে অযথাই পুলিশ হয়রানি করছে।

তবে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে জানান, মামলার এজাহারভূক্ত আসামী শহীদ। তবে আটক শহীদের ব্যাপারে যাচাই বাছাই শেষে নির্দোষ হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

এছাড়া এ ঘটনায় জেলা পুলিশের গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট বৃহস্পতিবার জমা দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ব্যাপারীকে ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর খান জানান, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাদের তদন্তের কাজ করছে। রিপোর্ট চূড়ান্ত করে বৃহস্পতিবার সেটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জমা দেয়া হবে।

নিহত হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা খাতুনের অভিযোগ, তার ৭ বছর বয়সী একমাত্র শিশুসন্তানকে বেশ ক'মাস আগে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে এলাকার বখাটে ফারুক। এসময় ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দেন তিনি।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হবে বলে জানায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন। কিন্তু বিষয়টির সুষ্ঠু সুরাহা করতে ব্যর্থ হয়ে তিনি এবং আপোষ মিমাংসার জন্য চাপ দেন। এছাড়া অভিযুক্ত ফারুক, খালেকসহ বেশ ক'জন যুবক তাদের বসত বাড়ি ও জমি দখলের চেষ্টা করে এবং নানা হুমকি ধামকি দেয়।

এ ঘটনাও পুলিশকে জানিয়ে ফের থানায় অভিযোগ দেন হালিমা খাতুন। কিন্তু এসব ঘটনায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ে।

এছাড়া প্রতিপক্ষের লোকজন গরু নিয়ে গেছে। এসব কারণেই তার স্বামী সন্তান নিহত হয়েছেন। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন হযরত আলী।

শনিবার সকালে শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণপাশে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন কর্নপুর ভিটিপাড়া গ্রামের কৃষক হযরত আলী ও তার মেয়ে আয়েশা। এ ঘটনায় জিআরপি থানায় মামলা হয়েছে। রোববার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় তাদের বাড়ির পাশে দাফন করা হয়।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh