• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

পটুয়াখালীতে ১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৮ জুলাই ২০২১, ১৪:৫৬
পটুয়াখালীতে ১৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত
ছবি: আরটিভি নিউজ

পটুয়াখালীতে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকা ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া, গলাচিপা, বাউফল, দশমিনা, মির্জাগঞ্জ, দুমকি ও সদর উপজেলার জনজীবনে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে এবং থমকে গেছে পটুয়াখালী পৌর শহরের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়। তবে কোথায়ও কোথায়ও দেখা দিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোর ৬ থেকে বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৫১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত ১৫ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। সর্বশেষ ২০০৬ সালে একবার এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, সোমবার (২৬ জুলাই) থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভোর থেকে বিরামহীন বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি হচ্ছে। আরও দুই-এক দিন অব্যাহত থাকবে। সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন নদনদী ও সাগরের পানি বৃদ্ধি পায়। এতে মঙ্গলবার ও বুধবারের দুই দিনের মুষলধারার বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে উপকূলের অর্ধশত চরের বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে যায় এবং বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে তলিয়ে যায় লোকালয়।

বিশেষ করে রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, চরলতা, গাইয়াপাড়া, কোড়ালিয়া, চরমোন্তাজ, চরবেষ্টিন ও চর আন্ডা, গলাচিপা উপজেলার চরকাজল, বদনাতলী, পানপট্টিও ডাকুয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ও নিজামপুর এলাকাসহ বিস্তীর্ণ জনপদ পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে যায় উপকূলের ওইসব এলাকা। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এলাকাবাসীকে। অচল হয়ে পড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

রাঙ্গাবালীর চালিতাবুনিয়া এলাকার মো. জুয়েল হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে দফায় দফায় জোয়ারের পানি ঢুকে বীজতলা সব নষ্ট হয়ে গেছে। বীজে পচন ধরায় এ বছর এই এলাকায় কেউই জমি চাষাবাদ করতে পারেনি। আমরা অনেক কষ্টে আছি। আমাদের কষ্টের কথা কে শুনবেন?’।



এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম মহিউদ্দিন আরটিভি নিউজকে জানান, ক্ষেতে এখন আমনের বীজতলা, সবজি ও কিছু আউশ ধান রয়েছে। পানি নেমে গেলে বৃষ্টিপাত কিংবা জোয়ারের পানিতে কোনো ক্ষতিই হবে না। তবে এ পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী থাকে তাহলে বীজতলাসহ সবজির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক।

জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পটুয়াখালীতে ৪ টন সরকারি পাঠ্যবইসহ ট্রাক জব্দ
X
Fresh