• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজ চাষে আব্দুল মতিনের বাজিমাত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুলাই ২০২১, ২২:৩১
গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজ চাষে আব্দুল মতিনের বাজিমাত
হলুদ তরমুজ চাষ

দুই বিঘা জমিতে তিন জাতের তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক আব্দুল মতিন। তার এই সফলতায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝেও সাড়া জাগিয়েছে। তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মৌলভীবাজার জেলার কৃষকরা। তার এই সাফল্য দেখে খোদ কৃষি বিভাগই হয়েছে বিস্মিত। আব্দুল মতিনের বাম্পার ফলনে কৃষি বিভাগ এই উচ্চ ফলনশীল বীজ জেলার সকল কৃষকদের মাঝে বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তার চাষ করা জাতগুলো হলো ব্ল্যাক বেবি, মধুমালা ও হলুদ রঙের লালতীর এর ল্যনফাই (খধহভরব) জাতের হলুদ তরমুজ।

জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা এলাকার কৃষক আব্দুল মতিন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং লালতীরের সার্বিক সহযোগিতায় তিন জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন।

সোমবার (২৬ জুলাই) সরেজমিনে আব্দুল মতিনের তরমুজ ক্ষেতে পরিদর্শনে আসেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার এর উপ-পরিচালক।

সফল কৃষক আব্দুল মতিন আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, তার দুই বিঘা জমিতে এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করেন। ইতিমধ্যেই তিনি ফল বিক্রি করা শুরু করেছেন।

তিনি জানান, তিন জাতের মধ্যে হলুদ রঙের লালতীর এর হাইব্রিড, ল্যনফাই (খধহভরব) জাতটি সর্বাধিক ফলন হয়েছে। ফলের ওজন এবং আকারে সবাইকে আকর্ষণ করেছে। শুধু আকার নয় এর স্বাদ অসাধারণ এবং মধুর মতো মিষ্টি। বাজারে এর দরও ভালো পাচ্ছেন।

তিনি আরও আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, এই তিন জাতের তরমুজ চাষ করতে এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর এখন পর্যন্ত তরমুজ বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। মাঠে যে পরিমাণ তরমুজ রয়েছে এতে তিনি আরও দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী।

কৃষক আব্দুল মতিন আরটিভি নিউজকে বলেন, ল্যনফাই জাতের ফলটি অন্যান্যদের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি। ফলের ওজন এক একটি ৩ থেকে ৪ কেজি এবং ফলে মিষ্টির পরিমাণও অন্যান্য জাতের চেয়ে অনেক গুণ বেশী। তাই আগামীতে তিনি ব্যাপকভাবে এই জাতের তরমুজ চাষ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। ফলন দেখতে তার জমি পরিদর্শন করেন স্থানীয় কৃষকরা। তারাও আগামীতে বিস্তারিতভাবে এ জাতের চাষ করবেন বলে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

এই প্রসঙ্গে কথা হয় এই প্রদর্শনীর বীজ এর উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সীড লিমিটেডের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তীর সাথে।

তাপস চক্রবর্তীর আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, হাইব্রিড, ল্যনফাই জাতটি সবুজ ডোরাকাটা ও ভিতরে হলুদ রঙ্গের শাসযুক্ত অধিক মিষ্টি। উত্তম পরিচর্যায় একেকটির তরমুজ এর ওজন হয় ৫ থেকে ৬ কেজি।

সারা বছরব্যাপী মাছায় ও মাঠে চাষ করা যায়। এ ফলের পরিপক্কতার সময় আসে ৬৫ থেকে ৭০ দিনে। জাতটি চাষ করতে প্রতি শতক জমিতে বীজের পরিমাণ লাগে মাত্র ১ গ্রাম। উত্তম পরিচর্যাতে একর প্রতি উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩৫ টন। কৃষকরা উপযুক্ত দাম পেলে এই জাতগুলো চাষে দিনদিন আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুর বারী আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, এ প্রদর্শনীতে তিন জাতের বীজ লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে অধিক ফলনও ফলের মিষ্টির পরিমানেও সবদিক থেকে এগিয়ে কৃষকের মন জয় করেছে হাইব্রিড ও ল্যনফাই জাতটি।

তিনি বলেন, জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও এমনি কৃষকদের মাঝে এই জাতগুলোর চাষ ছড়িয়ে দিতে চান। যেন কৃষরা উচ্চমূল্যের ফল এবং সবজি চাষ করে অধিক লাভবান হন।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনের শাক-সবজি উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী
‘মানুষ এখন ডাল-ভাত নয়, মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে’
হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
X
Fresh