• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ছেলে সেজে প্রেম, প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনের পর...

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৫ জুলাই ২০২১, ২১:৪১
ছেলে সেজে প্রেম, প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনের পর...
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা

কথা বলা ও চুলের স্টাইল এবং পোশাক-আশাক সবই ছেলেদের মতো। নিজের নাম রেখেছেন রায়হান। প্রেম করেছেন স্কুলের ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে। এদিকে প্রেমিক ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভনে সহযোগীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে তুলে দেয় তার মা মুক্তা বেগমের হাতে।

বুধবার (২১ জুলাই) ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ জেলার সদর থানাধীন জোর পুকুরপাড় পূর্বপাড়ার কাজলের বাড়ি থেকে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত ছাত্রী জানায়, আমার সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মুক্তা বেগমের মেয়ে স্মৃতি (১৫) ছেলে সেজে প্রেম করে আসছিল। তার মা মুক্তা, বাবা রবিউল তাকে সহযোগিতা করত। গত বুধবার ঈদের দিন বেলা সাড়ে ১১টায় আমাকে স্মৃতি নিজেকে রায়হান পরিচয়ে তার মা, বাবা ও সৎমাকে সঙ্গে নিয়ে অটোরিকশায় করে গোপনে নিয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে আমি বুঝতে পারি আমার প্রেমিক রায়হান আসলে ছেলে নয় মেয়ে। তারা আমাকে ৩ দিন আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করে খারাপ কাজ করার কথা বলে। আমি রাজি না হওয়াতে তারা আমাকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমার প্রতিবেশী চাচাতো বোন আর তার মেয়ে স্মৃতিকে যোগসাজশে ছেলে সাজিয়ে আমার মেয়েকে কৌশলে ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে নিয়া যায়। মেয়েকে অন্যত্র স্থানান্তরের প্রস্তুতির সময় পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল মামুন জানান, স্মৃতি, মুক্তা, রবিউল, হিজড়া শাকিলা সংঘবদ্ধ নারী ও শিশু পাচারকারী চক্র। তারা কৌশলে উঠতি বয়সী মেয়েদের অপহরণ করে অশ্লীল কাজ করানোসহ বিভিন্ন স্থানে পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, অভিযুক্ত স্মৃতি মেয়েটি খুবই স্মার্টলি ছেলেদের মতো কথা বলে। পোশাক, হেয়ার স্টাইল ছেলেদের মতো। কৌশলে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে তুলে নিয়ে তার মা মুক্তার হাতে তুলে দেয়। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে স্মৃতির মা মুক্তার স্বামী রবিউলের হাতে তুলে দেয় আর রবিউল তার আরেক স্ত্রী হিজড়া শাকিলার মাধ্যমে পাচারের সময় স্মৃতি ও মুক্তাকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণ ও পাচারের ঘটনা জানায়। তাদের দুজনের কথামতো পরবর্তীতে অপর দুজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, শনিবার (২৪ জুলাই) স্মৃতি ও মুক্তাকে আদালতে পাঠানো হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। রোববার (২৫ জুলাই) রবিউল ও হিজড়া শাকিলাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh