ঈদে শ্বশুরবাড়ির দাওয়াত না পেয়ে স্ত্রীকে পি'টিয়ে হ'ত্যা
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের নাদপাড়া গ্রামে কোরবানির ঈদে শ্বশুরবাড়িতে দাওয়াত না দেয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর ঘরে ঝুলিয়ে রেখেছেন স্বামী।
শনিবার (২৪ জুলাই) রাতে ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছেন। নিহত গৃহবধূর নাম সাথী খাতুন। তিনি একই গ্রামের ফজলু মণ্ডলের স্ত্রী।
সাথী খাতুনের বাবা একই ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া গ্রামের নজরুল মণ্ডল জানান, সাথীর স্বামী ফজলু ও শ্বশুর বারিক মণ্ডল মাদকাসক্ত। তার মেয়ের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সাথীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন ফজুলসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তিনি আরও জানান, কোরবানির ঈদে আর্থিক অনটনের কারণে জামাইকে দাওয়াত দিতে পারেননি তিনি। এরই জেরে শনিবার (২৪ জুলাই) দিনে ও রাতে তার মেয়েকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ফজলুর বাবা-মা। এতে সাথী মারা যান। মৃত্যুর পর আত্মহত্যার নাটক সাজাতে ঘরের বারান্দায় তার মেয়েকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। রোববার (২৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পান তিনি। এ ঘটনার পর পরই জামাই ফজলু ও ফজলুর বাবা বারিক মণ্ডলসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে যান।
শৈলকুপা থানার এসআই মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, নিহত সাথী ও তার স্বামী ফজলুর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের কালো দাগ ও গলায় রশির চিহ্ন পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন