• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রক্তদাতাকে দেয়া হলো মানসিক রোগীর ইনজেকশন

টাঙ্গাইল (উত্তর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৪ জুলাই ২০২১, ১৪:০০
রক্তদাতাকে দেয়া হলো মানসিক রোগীর ইনজেকশন
টাঙ্গাইল ক্লিনিক এন্ড হসপিটাল

টাঙ্গাইলে রক্ত দিতে গিয়ে এক শিক্ষার্থীকে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল ক্লিনিক এন্ড হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থী টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মো. বায়েজিদ। তিনি সরকারি সা’দত কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনার পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে একটি লিখিত মুচলেকা দিয়েছেন।

জানা গেছে, বায়েজিদের এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলো। সন্তান ডেলিভারির জন্য ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল ক্লিনিক এন্ড হসপিটালে ভর্তি হয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীর পাশেই এক মানসিক রোগী ভর্তি ছিলো। পরে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর রক্ত প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে বায়েজিদ দুপুরে রক্ত দেয়ার জন্য ক্লিনিকে যায়। ওই ক্লিনিকের প্যাথলজি বিভাগের প্যাথলজিস্ট মেহেদী হাসান দুইটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর ইনজেকশন পুশ করেন।

শিক্ষার্থী বায়েজিদের সহকর্মীরা আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, রক্ত দিতে হলে আগে কি ইনজেকশন দেয়া লাগে এমন প্রশ্ন করার পরও মেহেদী হাসান বায়েজিদকে দুইটি ইনজেকশন পুশ করে। পরে তার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে মেহেদী হাসান বলে ভিটামিনের ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। পরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেহেদী হাসান পড়ে যান। পরবর্তীতে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখি এটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর জন্য ইনজেকশন।

তারা আরও আরটিভি নিউজকে বলেন, মূলত ভুল করে বায়েজিদকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। ইনজেকশন দেয়ার আগে মেহেদী হাসান বায়েজিদকে কোন কিছুই জিজ্ঞাসা করেননি। যদি রোগীর নাম ঠিকানা মিলেয়ে দেখা হতো তাহলে এমন ভুল হতো না।

শিক্ষার্থী বায়েজিদ আরটিভি নিউজকে বলেন, আমার এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে রক্ত দেয়ার জন্য ক্লিনিকে আসি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে দু’টি ভারসাম্যহীন রোগীর ইনজেকশন পুশ করে। এতে আমি চিন্তিত রয়েছি। আমার এখন ঘুম ঘুম ভাব আসতেছে। এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

এদিকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী বায়েজিদের সহকর্মীদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাক বিতন্ডা হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেয়ে বায়েজিদের এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে লিখিত একটি মুচলেকা দিয়েছেন। ওই মুচলেকায় উল্লেখ করা হয়, ইনজেকশন পুষ করার ফলে যদি তার কোন ক্ষতি হয় তাহলে আমরা দায়ভার বহন করবো।

ক্লিনিকের প্যাথলজি বিভাগের প্যাথলজিস্ট মেহেদী হাসান আরটিভি নিউজকে বলেন, অন্যজনকে দিতে গিয়ে ভুল করে বায়েজিদকে ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। রক্ত দিতে হলে আগে ইনজেকশন দেয়া লাগে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি। পরে তিনি বিষয়টি ভুল স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ধর্ষণ মামলা : আ.লীগ থেকে বড় মনিরকে অব্যাহতি
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
গোসলে নেমে স্রোতে ভেসে গেল শিশু
প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও ছাত্রলীগ নেতা
X
Fresh