স্পিডবোট ডুবে চালকের সামনেই স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যু
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় জোৎস্না বেগম (৩৪) নামে এক নারী ও তার আট বছরের মেয়ে রুমি বেগমের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের বরুজ মিয়ার স্ত্রী জোৎস্না বেগম ও তার মেয়ে রুমি বেগম। নিহতরা দুর্ঘটনাকবলিত স্পিডবোট চালক বরুজ মিয়ার স্ত্রী ও সন্তান বলে জানা গেছে। তবে বরুজ মিয়ার অন্য তিনটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে৷ গুরুতর আহত রিনা বেগম (২৯) নামের একজনকে প্রথম তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত রিনা বেগম স্পিডবোট মালিক বালিয়াঘাট গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেনের খানের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে উপজেলার বাদাঘাট বাজার থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খানের ব্যক্তিগত স্পিডবোট নিয়ে বালিয়াঘাটে উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বরুজ মিয়া। স্পিডবোটে আবুল হোসেন খানের মেয়ে ও চালক বরুজ মিয়ার স্ত্রী ও চার ছেলে মেয়েসহ আটজন যাত্রী ছিল। স্পিডবোটটি বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে পাটলাই নদীতে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবাহী ব্লাকহেড নৌকা ধাক্কা দিলে স্পিডবোট নদীতে ডুবে যায়। আটজন যাত্রীর মধ্যে চালক বরুজ মিয়ার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে উদ্ধার করা হয়।চালকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম ও তার মেয়ে রুমি বেগম পানিতে ডুবে যায় । স্থানীয় লোকজন প্রায় দেড় ঘন্টা খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে নিহত মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
চালক বরুজ মিয়ার চাচাতো ভাই বুলবুল আহমেদ আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, স্পিডবোট চালক বরুজ মিয়া পরিবার নিয়ে বালিয়াঘাট গ্রামে স্পিডবোট মালিক আবুল হোসেন খানের বাড়ির পাশেই থাকেন। দুর্ঘটনার কবলে দুই জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। চোখের সামনে স্ত্রী ও সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার ভাই বরুজ মিয়া।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ তরফদার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আরটিভি নিউজকে বলেন, স্পিডবোট ডুবে দুই জন মারা গেছেন। একজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এমআই
মন্তব্য করুন