• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

অস্থায়ী পশুরহাটে নেই স্বাস্থ্যবিধি, স্কুল ও খেলার মাঠ দখল 

নরসিংদী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৯ জুলাই ২০২১, ২০:৫৫
অস্থায়ী পশুরহাটে নেই স্বাস্থ্যবিধি, স্কুল ও খেলার মাঠ দখল 
অস্থায়ী পশুরহাটে নেই স্বাস্থ্যবিধি, স্কুল ও খেলার মাঠ দখল 

প্রতিবারের মতো এবারও নরসিংদীর পলাশসহ পুরো জেলায় কোরবানির পশুরহাট বসানো হয়ছে। কেনা-বেচা হরদম চললেও প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে। করোনা প্রতিরোধে ইজারাদাররা মাস্ক, সাবান, জীবাণুনাশক সামগ্রী সংগ্রহ করবে এবং এগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে বলে নিয়ম থাকলেও কোনো কিছুরই বালাই নেই হাটগুলোতে। আবার কোথাও খেলার মাঠ কিংবা স্কুলের মাঠেও বসছে হাট। যার ফলে বিভিন্ন মহলে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সরেজমিনে নরসিংদীর পলাশে বেশ কয়েকটি পশুরহাট ঘুরে দেখা যায়, হাটে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। নেই অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক। হাটে নেই সাবান কিংবা জীবাণুনাশক উপকরণ। যার ফলে সম্প্রতি নরসিংদীর পলাশসহ সারা জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু তাই নয়, জেলার বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠে ও সড়কের পাশে বসানো হয়েছে পশুরহাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরসিন্দুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসানো হয় পশুরহাট। এছাড়া পলাশ উপজেলায় মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনাকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। পলাশ উপজেলার ৪টি অস্থায়ী পশুরহাটের মধ্যে একটি ডাংগা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ। অপরটি নরসিংদী জেলার ঐতিহ্যবাহী জিআরসি ফুটবল খেলার মাঠ। এছাড়া চরসিন্দুর বাজারের পশুর হাটটি এবার বসানো হয়েছে চরসিন্দুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে অস্থায়ী পশুরহাট বসানোর কারণে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও মাঠের নিয়মিত খেলোয়াররা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, প্রতিষ্ঠানের মাঠে পশুরহাট বসানো হলে মাঠ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া নর্দমায় দীর্ঘদিনের জন্য একটি দুর্গন্ধময় পরিবেশ হয়। তাতে আশপাশের পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরে। শুধু তাই নয়, মাঠে গর্ত করে বাঁশ ব্যবহার করার ফলে সেই গর্ত পুনরায় ভরাট না করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মানুষজন চলাফেরা করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে।

এলাকাবাসীরা জানান, খেলার মাঠে পশুরহাট বসানোর ফলে এই সময়ে খেলা বন্ধ থাকে। মাঠটি নর্দমা ও কর্দমাক্ত পরিস্থিতির কারণে মাসের পর মাস খেলার অযোগ্য হয়ে পরে। আর মাঠে গর্ত করে বাঁশ পুতে রাখার কারণে যে গর্তের সৃষ্টি হয়, তা পরবর্তীতে ভরাট না করার কারণে অনেক খেলোয়ার ও রেফারি পা ভেঙে যাওয়ারও নজির রয়েছে।

এবার জেলায় পশুরহাট বসাতে ১৪ জুলাই বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় জেলার ২৫টি অস্থায়ী পশুরহাটের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর পলাশ উপজেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি করে ১৫ জুলাই নরসিংদীর একটি স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে বিজ্ঞপ্তি জারির দিনই ১টা পর্যন্ত দরপত্র বিক্রির শেষ সময়, ২টার মধ্যে দাখিল এবং ৩টায় খোলার সময় নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে দরপত্র কমিটির মাধ্যমে দরপত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা থাকলেও কোন কিছুই প্রতিপালন করা হয়নি। দরপত্রের নির্বাচিত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের ইজারাকৃত মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে একইদিনে ইজারা দেয়ার শর্ত থাকলেও তা প্রতিপালন করা হয়নি। তড়িঘড়ি করে সকল নিয়ম ও নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাজার ইজারা দিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিনুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, স্কুল ও খেলার মাঠে পশুরহাট বসানো যাবে। তাতে কোনো বাধা নেই। বসানো যাবে না এমন কোনো নির্দেশনা কোথাও নেই। এছাড়া হাটের দরপত্র ইজারা কার্যক্রম যথারীতি নিয়ম মেনেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh