• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নির্মাণে ধীরগতি, বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা, আরটিভি নিউজ

  ১৯ জুলাই ২০২১, ১৪:৩৯
নির্মাণে ধীরগতি, বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র
পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র

ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণে ধীরগতির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

বন্যা প্রবণ চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চার তলা বিশিষ্ট কামারশোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় বর্তমানে পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে এলাকাবাসী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা স্থানীয়দের।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ১৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৪ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চার তলা বিশিষ্ট কামারশোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজের রূপ-পত্র আহবান করা হয়।সে মোতাবেক রূপ-পত্রে অংশগ্রহণ করে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার মের্সাস মীম এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাড়াশের কামারশোন নির্মাণ কাজটি পায়।

পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট মাসে কাজ শুরুর কার্যাদেশ দেয়া হয়। এ কাজের শেষ তারিখ ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত থাকলেও আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বেজ ঢালাই দিয়ে হাফ কলাম করে তা ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে কলামের রডগুলো বৃষ্টিতে ভিজে মরীচিকা ধরে কার্যক্ষমতা হারাতে বসেছে। এরই মধ্যে খানিকটা অংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আর কার্যাদেশ পাওয়ার পর এক বছরে কাজের অগ্রগতি ১০ থেকে ১২ শতাংশ।

কামারশোন গ্রামের মজনু সরকার, আইয়ুব আলী ও আলতাব হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কামারশোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণের কার্যাদেশ পাওয়ার প্রায় ৭ মাস পর ২০২১ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু করেন। এপ্রিল মাসে বেজ ও কলাম ঢালাইয়ের পর অদ্যাবধি আর কোন কাজ না করে ফেলে রেখেছেন। বন্যার পানি নেমে যেতে চলতি বছর প্রায় শেষ হয়ে যাবে। কাজেই নিশ্চিত করে বলাই যায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস মীম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শামসুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, বন্যা প্রবণ এলাকা হওয়ায় এমনিতেই ৩ থেকে ৪ মাস কাজ করা যায় না। আর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের নকশা ৪ বার পরিবর্তন করার কারণে কাজের ধীরগতি। তবে কলামের ঊর্ধ্বমুখী উন্মুক্ত রডগুলোর যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কাজের তদারকি কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে কাজের ধীরগতি। আর এজন্য ঠিকাদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী ওই উন্মুক্ত রডগুলো বৃষ্টিতে ভিজে যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য পরামর্শ ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ব্রাজিলিয়ান সুন্দরীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন শাহরুখপুত্র
X
Fresh