গাইবান্ধায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে হামলা
গাইবান্ধার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যু কেন্দ্র করে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জরুরী বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল। এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৮ জুলাই) বিকেল থেকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন চিকিৎসক সুজন পাল। সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহেদা বেগম( ৫৫) নামের এক রোগী হাসপাতালে মারা যায়। জাহেদার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালি গ্রামে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে জাহেদার ছেলে জাহিদ মিয়া ও তার লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তারা জরুরী বিভাগের চেয়ার টেবিল ও জানালা ভাংচুর করে। একই সঙ্গে চিকিৎসককে গালাগালি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা চিকিৎসক সুজন পালকে মারধর করে। এ সময় আরেক চিকিৎসক নুরে জান্নাত এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত জাহেদা বেগমের ছেলে জাহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মায়ের ইলেক্ট্রোলাইটসহ তিনটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলেন। হাসপাতালের বাহির থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ভর্তি না করে পরের দিন রক্ত দিতে বলেন। একই সঙ্গে চিকিৎসক রোগীকে জরুরী বিভাগের বেডে ফেলে রাখেন। এভাবে দীর্ঘ সময় চিকিৎসার অভাবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে জাহেদা বেগম মারা যায়।
এই ঘটনায় গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক তাহেরা আকতার বাদী হয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ১০-১২ জনের একটি দল জরুরী বিভাগের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। চিকিৎসক সুজন পাল ও নুরে জান্নাতকে মারধর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মো. মাহফুজার রহমান আরটিভি নিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জিএম
মন্তব্য করুন