প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই ধসে গেল রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক
রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই ব্লক ধসে গেছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার চরসিলিমপুর গোদার বাজার অংশের ৩০ মিটার ব্লক ধসে যায়। এতে নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে ব্লক ধসে যাওয়ার খবর শুনে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় নতুন করে ব্লক ফেলার ব্যবস্থা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পড়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়।
রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই ব্লকে ধস গেছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার চরসিলিমপুর গোদার বাজার অংশের ৩০ মিটার ব্লক ধসে যায়। এতে নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে ব্লক ধসে যাওয়ার খবর শুনে তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় নতুন করে ব্লক ফেলার ব্যবস্থা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পড়ে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাঙন রোধে ২০১৮ সালের জুন মাসে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাটে তিন ও মিজানপুরে দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে চার কিলোমিটার এবং ২০১৯ এর জুলাইয়ে শুরু হওয়া (প্রথম সংশোধিত) শহর রক্ষা বাঁধের গোদার বাজার অংশের আড়াই কিলোমিটারসহ মোট সাত কিলোমিটার এলাকায় ৪৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এতে দ্বিতীয় পর্যায়ের সাড়ে চার কিলোমিটারে ৩৭৬ কোটি ও প্রথম সংশোধিত ১৫২৭ মিটারে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রকল্পের জন্য ৮.৩ কিলোমিটার অংশে ৪৯ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহর রক্ষা বাঁধের কাজে ত্রুটি রয়েছে। ফলে গোদার বাজারের একটু উজানে মিজানপুরের চরসিলিমপুরে নদীর ডান তীর প্রতিরক্ষা কাজের ব্লক দুই মাস না যেতেই দুটি স্থান ধসে গেছে। তারা আরও জানান, যে স্থানে ব্লক ধসে গেছে সেখানে তেমন স্রোত নেই। তাই স্রোত বাড়লে ভাঙনের তীব্রতাও বাড়বে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা সংস্কার না করা হলে রাজবাড়ী শহর তলিয়ে যাবে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, দুপুরে গোদার বাজার চরসিলিমপুরে নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের ২০ মিটার এলাকার ব্লক নিচে নেমে গেছে। পানির ঘূর্ণনে ডাম্পিং সরে গিয়ে হয়তো এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে স্টকের ব্লক এনে ডাম্পিং করা হয়েছে। পড়ে জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে আগামী দুইদিন ব্লকসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।
পি
মন্তব্য করুন