যানজট ও প্রচণ্ড গরমে ২৭ মণ ওজনের গরুর প্রাণহানি
পাবনা থেকে ঢাকার কোরবানির হাটে গবাদিপশু আনার সময় প্রায় ২৭ মণ ওজনের একটি গরু মারা গেছে। যানজট ও প্রচণ্ড গরমে গরুটি মারা যায় বলে জানান গরুর মালিক। তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশে গরুগুলো নেয়া হচ্ছিল পাবনা থেকে ঢাকায় কোরবানির হাটে। পথেই ২৭ মণ ওজনের গরুটি মারা গেছে। লাভের আসায় বরং ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়ে গেছে। গরুটি দেখতে উৎসুক লোকজন ভিড় করেন। ক্ষতিপূরণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ব্যাপারি।
শুক্রবার বেলা ২টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গরুটির মালিক মুকুল হোসেন বলেন, ‘গতকাল ৬টা গরু নিয়া পাবনার সাথিয়া থাইকা ঢাকায় আসতেছিলাম। এলাকায় গরুটার দাম উঠছিল সাড়ে ৫ লাখ টাকা। আমি ভালো দামে বেচব বইলা ঢাকায় আনছি। পথে টাঙ্গাইল থেকে অনেক যানজট শুরু হয়। ৫-৭ ঘণ্টার পথ ১৫ ঘণ্টা লাগছে বাইপাইল আসতে। পরে এখানে আইসা ২৭ মণের একটা গরু গরমে অসুস্থ হইয়া ট্রাকের মধ্যেই মারা যায়। অসুস্থ হইছে আরও পাঁচটা গরু। কিন্তু গরুটা মারা যাওয়ায় আমার অনেক লস হইয়া গেল। আমি সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাই।’
সাভার ট্র্যাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ বলছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানীর প্রবেশমুখ সাভারের সব সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘরমুখী মানুষ ও পশুবাহী গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান বলেন, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে লকডাউন শিথিলের প্রথমদিন থেকেই সাভারের সড়কগুলোতে পশুবাহী গাড়ি ও ঘরমুখী মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই দেখা যায় যানজট। তার সাথে তীব্র গরমও ছিল। অনেক জায়গায় গরু অসুস্থ হওয়ারও খবর পেয়েছি। পশুবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নির্দেশনাও নেই।
এসএফ/পি
মন্তব্য করুন