মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার নামে তরুণীকে ধর্ষণ
ঠাকুরগাঁওয়ে চাকরি দেয়ার নামে ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালের একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সকালে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বাদল মিয়াকে আসামি করা হয়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার হাটসিরা গ্রামের প্রয়াত নুরুল ইসলামের ছেলে বাদল মিয়া (৩৭)। তিনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে চাকরিচ্যুত।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত বাদল মিয়া ২০০৪ সালে ফায়ার সার্ভিসে ড্রাইভার পদে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। এ কারণ তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
চাকরির সুবাদে মামলার বাদীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাদীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। কৌশলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে আপত্তিকর ভিডিও, ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন। বাদল ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৬টি ফাঁকা চেকের পাতা স্বাক্ষর করে নেন।
ভুক্তভোগী জানান, গত ১২ জুলাই বাদল মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি দেন যে তার সঙ্গে দেখা না করলে তিনি ছবি, ভিডিও ও কথোপকথন ভাইরাল করে দেবেন। পরে ভয়ে তিনি শহরের হোটেল সালাম ইন্টারন্যাশনালে দেখা করেন। এ সময় বাদল মিয়া জোর তাকে সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে বাদল মিয়া এসব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন