• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

প্রেমের সালিশ করতে গিয়ে বিয়ে করে ফেললেন চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার পটুয়াখালী, আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুন ২০২১, ১৬:৫৮
প্রেমের সালিস করতে গিয়ে বিয়ে করে ফেললেন চেয়ারম্যান
চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার

পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক প্রেমিকার বাবা মেনে না নেয়ায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকে বসেন চেয়ারম্যান। এ সময়ে প্রেমিকাকে চেয়ারম্যানের পছন্দ হওয়ায় অভিভাবকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। অভিভাবক সম্মতি দিলে ১৫ বছরের ওই কিশোরী প্রেমিকাকে বিয়ে করেন উপজেলার কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার।

এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। দুই সন্তানের জনক। তিনি উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ওই কিশোরীকে দ্বিতীয় বিয়ে করায় বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। এ সময় চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী পটুয়াখালী অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। শাহিন হাওলাদার ২১ জুন অনুষ্ঠিত কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে দ্বিতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এদিকে প্রেমিকাকে না পেয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রেমিক রমজান। পরে চৌকিদার মো. ফিরোজ তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার (২৫ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রমজান ওই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে।

শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ প্রেমিক রমজান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতলায় বারান্দায় একটি বেডে কাত হয়ে বসে আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কনকদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাজনীন আক্তার (নছিমন) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান (২৫) নামের এক যুবকের। কিন্তু এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি নাজনীনের বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি এ বিষয়টি কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান।

পরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার শুক্রবার (২৫ জুন) ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক ডাকেন। ওই বৈঠকে রমজান ও নাজনীনের দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিশ বৈঠকে নাজনীনকে দেখে পছন্দ হয়ে যাওয়ায় তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। মেয়ের বাবা এ বিয়েতে রাজি হলে ওই দিন বাদজুমা চেয়ারম্যানের আয়লা বাজারস্থ বাসায় কাজী ডেকে ৫ লাখ টাকা কাবিন করে নাজনীনকে বিয়ে করেন তিনি।

এ বিষয়ে শাহিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি। আমার বিয়ে প্রয়োজন ছিল, তাই বিয়ে করেছি।

তিনি বাল্য বিয়ে করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার বলেন, আপনাদের ভাবির জন্ম তারিখ ২১ এপ্রিল ২০০৩ সাল। তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। এরপর তিন বছর হয়েছে পড়াশুনা বাদ দিয়েছেন। বিয়ে করে আমি লজ্জিত নই বরং আনন্দিত।

তবে নাজনীন আক্তার নছিমনের বয়স ১৫ থেকে ১৬ বছর হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
দাঁত ব্রাশ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
ছিনতাই করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ২ পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
ট্রুডোর নামে ভুয়া জন্মসনদ : ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ
স্ত্রীসহ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
X
Fresh