নেত্রকোনায় বাড়ছে ক'রোনা সংক্রমণ, সীমান্তে কড়া পাহারা
নেত্রকোনায় করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের দিন কাটছে করোনা আতঙ্কে। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বিভিন্ন ক্লিনিক গুলোতে ভিড় করছেন।
জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হওয়ায় ওই এলাকার সাধারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন নানা কাজে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় নানা কাজে যাতায়াত করায় দেশের বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপট এবং সীমান্তের ওপারে ভারতে মেঘালয় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী বেশি থাকায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আদিবাসী পল্লীর মানুষকে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়। জেলায় রোববার (২০ জুন) করোনা রোগে শনাক্ত হয় ১৮ জন। এর মধ্যে দুর্গাপুরেই ৮ জন। সোমবার (২১ জুন) আক্রান্ত হয়েছে ১৩ জন। এতে কলমাকান্দায় রয়েছেন ৩ জন।
জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর ঘুরে দেখা গেছে, দুই উপজেলায় সাধারণ মানুষ সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। তারা অনেকেই স্থানীয় হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে নিজেরাই স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন।
এ বিষয়ে দুর্গাপুরের ফারংপাড়ার জামাল হোসেনে আরটিভি নিউজ বলেন, দুই দিন ধরে জ্বরে ভুগছি। বাজার থেকে নাপা কিনে খাওয়া হচ্ছে। এখন জ্বর কিছুটা কমের দিকে। তবে আমাদের গ্রামে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত।
কলমাকান্দার বড়ুয়াকোনা বিওপির ইনচার্জ নায়েব সুবেদার হযরত আলী বলেন, আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। উপরের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি। সীমান্তের ওপার থেকে কোন মানুষকে এপারে আসতে দিচ্ছি না। অবৈধ চলাচলের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছি।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জ্বর, সর্দি-কাশি ও গলা-ব্যথা নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। মেডিকেল অফিসারগণ জরুরি সেবা চালু রেখেছেন। আগতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপত্র দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান আরটিভি নিউজ জানান, করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সাধারণের চলাচলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় মানুষের চলাচলে বিজিবি’র কড়া নজরধারী বাড়ানো হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন