• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাঁশিতে ফুঁ দিতেই মাহাতাবের গায়ে এসে বসে মৌমাছি

যশোর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২২ জুন ২০২১, ১৫:৩১
বাঁশিতে ফুঁ দিতেই মাহাতাবের গায়ে এসে বসে মৌমাছি
মাহাতাবের গায়ে মৌমাছির দল

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার গল্প কে না যানে। তার বাঁশির সুরে গর্ত থেকে বের হয়ে এসেছিল শহরের সব ইঁদুর। কিন্তু অজ পাড়াগাঁয়ের এক বাঁশিওয়ালার গল্প অবাক হওয়ার মতোই। যার বাঁশির সুরে ঝাঁকে ঝাঁকে বেরিয়ে আসছে মৌমাছি। উড়ে এসে বসছে তার গায়ে। মৌমাছির ভিড়ে দেখা যাচ্ছে না তার শরীর। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আর এই দৃশ্য দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন তার বাড়িতে।

নাম তার মাহাতাব মোড়ল। সবাই চেনে মৌমাছি মাহাতাব নামে। যশোরের কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর ইউনিয়নের মোমিনপুর গ্রামে তার বাড়ি। ছোটবেলা থেকেই মৌচাক থেকে মধু আহরণ করতে শুরু করেন তিনি। ওই সময় বালতিতে শব্দ করে চাক থেকে মৌমাছি দূরে সরিয়ে দেয়ার কৌশলও রপ্ত করেন মাতাহাব। এরপর টিনের থালায় শব্দ শুনে মৌমাছি চাক ছেড়ে তার কাছে আসতে শুরু করে। কাছে আসার এমন দৃশ্য থেকে মধু সংগ্রহকারী এ পতঙ্গের প্রতি তার ভালোবাসা জন্মায়।

মাহাতাবের বাঁশি বাজিয়ে মৌমাছি জড় করা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন উৎসুক মানুষ। অদ্ভুত এই দৃশ্য দেখে খুশি তারা। পোকের সাথে বন্ধুত্ব করার দৃঢ় ইচ্ছা থেকেই মাহতাব মৌমাছিকে কাছে আনতে সক্ষম হয়েছেন। আর প্রথমদিকে খারাপ লাগলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ একাজ দেখতে আসায় এখন খুশি তার পরিবার।

স্থানীয়রা বলেন, আমরা এই দৃশ্য দেখে অনেক অবাক হয়েছি। যেখানে আমরা মৌমাছি দেখে ভয় পাই। সেখানে উনি তাদের নিয়ে কত সহজে আনন্দ করছে।

মাহাতাব মোড়ল বলেন, এই কাজটি কেবল মৌমাছির প্রতি ভালোবাসা থেকেই করা সম্ভব হয়েছে। এতে কোনো অসৎ উপায় ও তন্ত্র-মন্ত্র নেই। আর এটি আমি খুব ভালোবেসেই সবসময় করি। কখনো আমার ভয় হয়নি। এদের মাঝে আমি অনেক সুখ খোঁজে পাই।

মাহাতাবের স্ত্রী ফুলজান বেগম বলেন, শুরুতে তার এই কাজ আমি পাগলামি মনে করে অনেক বকা-ঝকা করতাম। নিজের মধ্যে খুব ভয় করতো। জানিনে কখন কি হয়ে যায়। মৌমাছিরা কামড় দিলে তো মারাও যেতে পারে এই ভয়ে। তিনি এখন অসম্ভব জিনিস সম্ভব করেছে। লোকজন এখন তার এই দৃশ্য দেখতে বাড়িতে ভিড় করে সকাল-সন্ধ্যা।

উল্লেখ্য, প্রায় ২০ বছর ধরে মাহাতাব মধু সংগ্রহ করেন। তার বাবার নাম মৃত কালাচাঁদ মোড়ল। সুন্দরবনসহ সাতক্ষীরা, খুলনা ও যশোর অঞ্চলে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন তিনি। মধু বিক্রি করেই চলে তার সংসার।

জিএম/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh