• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তিস্তার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২২ জুন ২০২১, ১২:২০
তিস্তার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভয়াবহ ভাঙন
ছবি: আরটিভি নিউজ

বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বেড়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৯টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে তিস্তার পানি কমা বাড়ার কারণে বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। গত ১০ দিনে তিস্তার ভাঙনে প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন বেড়েই চলছে। ফলে সেখানকার মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৯টায় তিস্তার পানি কমে গিয়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত বর্ষার শুরু থেকেই ভয়াল রূপ ধারণ করেছে তিস্তা নদী। তিস্তার তীব্র ভাঙনে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার ৬৮টি চরের হাজারো পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। চোখের সামনে বসত ভিটা হারিয়ে কাঁদছে তিস্তা পাড়ের মানুষ।

তিস্তা আর ধরলা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বন্যা শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ থেকে পানি বন্দি থেকে মুক্তি মিললেও নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে মানুষ। চোখের সামনে নদীর পেটে চলে যাচ্ছে বসত ভিটা, ফসলি জমি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ।

অনেকেই রাস্তার পাশে বা বাঁধের ধারে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকে লালমনিরহাট সদরের চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার বাহাদুরপাড়া, চন্ডিমারী, কুটিরপাড়, কালীগঞ্জের আমিনগঞ্জ, চর বৈরাতী, হাতীবান্ধার সিংগীমারী, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া, ফকিরপাড়া, সানিয়াজানের বাঘের চর, নিজ শেখ সুন্দর ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে সলেডি স্প্যার বাঁধসহ সব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এরই মধ্যে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের কুটিরপাড় বালুর বাঁধটির একটি বিশাল অংশ তিস্তায় ধসে গেছে।

এদিকে অভিযোগ রয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ইমাজেন্সি ওয়ার্কের নামে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে এসে প্রকৌশলীরা নিজেদের পকেট ভারী করলেও নদী ভাঙ্গন রোধে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর তারা ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে কিছু বালুর বস্তা ফেলেই খালাস। এ ব্যাপারে লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের দক্ষিন বালাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মিয়া বলেন, আমরা চরবাসী কিছুই চাই না। শুধু একটা মনের মতো বাঁধ চাই। যাতে আর ঘরবাড়ি ভাঙতে না হয়।

এ সমস্যা বিষয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করায় বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh