• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

প্রধান শিক্ষকের মাছের ঘেরের জন্য জলাবদ্ধতার শিকার অর্ধশতাধিক মানুষ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২১ জুন ২০২১, ২০:২৭
প্রধান শিক্ষকের মাছের ঘেরের জন্য জলাবদ্ধতার শিকার অর্ধশতাধিক মানুষ
মাছের ঘেরের জন্য জলাবদ্ধতার শিকার অর্ধশতাধিক মানুষ

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের পানি এবং টানা বর্ষনের পানি নিষ্কাশনের অভাবে পটুয়াখালী জেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক মানুষ স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। পার্শ্ববর্তী তালতলী উপজেলার দক্ষিণ ঝাড়া খালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ লতিফ সরকারি খাস জমিসহ নিজের জমিতে মাছের ঘের নির্মান করে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসত বাড়ির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে সাধারণ পরিবারের মানুষগুলো।

জলবন্ধী অবস্থায় বসবাসের ফলে ১০টি প্রান্তিক জেলে পরিবারের বৃদ্ধ-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের সদস্যরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। এর প্রতিকার চাইলে প্রধান শিক্ষক ভুক্তভোগীদের নানা হয়রানীন পাশাপাশি সন্ত্রাসী বাহিনী লালন পালনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, আন্ধারমানিক নদের তীর ঘেঁষা ফতেহপুর গ্রাম রক্ষাকারী বেড়িবাঁধের বাইরের সরকারি খাস জমিতে ক্ষুদ্র কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের বসবাস। নদীর তীরে বসবাস করলেও এখানকার ১০টি পরিবারের মানুষ স্থায়ী জলাবদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করছে। এসকল বাসিন্দাদের বাড়ির পিছনের খাস জমিতে এবং প্রধান শিক্ষক প্রায় তিন একর জমিতে একটি মাছের ঘের নির্মান করেছেন।

প্রতিবেশিদের বাড়ির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় ভুক্তভোগী প্রান্তিক কৃষকদের বাড়ির উঠান পানির নিচে চলে গেছে। জলাবদ্ধ পানি দূষিত হওয়ার কারণে পুকুুরে অর্ধলক্ষাধিক টাকার মাছ মরে যায়। পুকুরের পানি দূষিত হওয়ায় নারী-পুরুষসহ সকলে বেড়িবাঁধের ভিতরের বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়ে রান্না এবং গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজ করছে।

ভুক্তভোগী মো. দুলাল বয়াতী বলেন, আমরা এখানে সরকারি খাসজমির বন্দোবস্ত পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। ৮০-র দশকে সরকারি জমি বন্দোবস্ত পাওয়া এক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি ক্রয় করে প্রধান শিক্ষকের পিতা এনায়েত হোসেন। সেই জমি মাত্র ৯০ শতাংশ জমি রেকর্ড হয় তাদের নামে। তবে প্রধান শিক্ষক আঃ লতিফ তাদের রের্কড জমির সঙ্গে সরকারি জমি দখল করে একটি বিশাল মাছের ঘের নির্মান করে। তবে যখন সে মাছের ঘের নির্মান করে তখন আমাদের বসতবাড়ির পানি নিষ্কাশনের প্রতিশ্রুতি দেয়।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানি এবং টানা বর্ষার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় আমরা ১০টি পরিবারের অর্ধশতাধিক মানুষ স্থায়ী জলাবদ্ধ হয়ে পরেছি। আমরা প্রশাসনের সহায়তায় জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার দাবি করছি।

মো. সজিব দাবি করেন, পানিতে ডুবিয়ে আমাদের শাস্তি দিয়েও প্রধান শিক্ষক ক্ষ্যান্ত হয়নি। তিনি আমাদের দমিয়ে রাখতে এবং আমাদের কন্ঠরোধ করার জন্য স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ লালন পালন করছে।

নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আঃ রব হাওলাদাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এমআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মাছের ঘেরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
X
Fresh