• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মহড়া শেষে থানায় এসে অ'স্ত্র জমা দিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা

পাবনা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৩ জুন ২০২১, ১৭:৫৮
মহড়া শেষে থানায় এসে অস্ত্র জমা দিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা
সশস্ত্রের মহড়া সিসিটিভির ফুটেজ ছবি

গত ৬ জুন পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তরে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী ফারুক ও পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুনের নেতৃত্বে সশস্ত্র মহড়ার সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সরকার দলীয় ঠিকাদারদের এরকম মহড়ায় নিন্দার ঝড় বইছে দেশে। এরই মধ্যে প্রদর্শিত অস্ত্র থানায় জমা দিয়েছে।

সশস্ত্র মহড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার আজিম আরটিভি নিউজকে জানান, ওই দিন তিনি অফিসের কাজে বাইরে ছিলেন। তার সাথে তাদের দেখা হয় নাই। সিসিটিভি ফুটেজে যারা অফিসে সশস্ত্র অবস্থায় ঢুকেছিল তারা অফিসেরই ঠিকাদার। তবে তারা অফিসের কারো সাথে কোন প্রকার অশ্লীল বা খারাপ ব্যবহার এবং কোন কথা বলেনি। জানি না কি কারণে তারা এসেছিল। যতদূর শুনেছি ওই ঠিকাদাররা কিছু টাকা নিয়ে ঈশ্বরদীর সাইডে যাচ্ছিলেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই নিজস্ব লাইসেন্সকৃত অস্ত্র সাথে এনেছিল। তারপরও তিনি বিষয়টি পাবনার জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সশস্ত্র ঠিকাদার ও পাবনা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এর আর খান মামুন জানান, রোববার (৬ জুন) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, জেলা যুব লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু একটি গাড়ি-যোগে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী সাইট ও ইটের ভাঁটায় টাকা দিতে যাচ্ছিলেন। শুধুমাত্র নিজেদের নিরাপত্তা-জনিত কারণে তার এবং লালুর লাইসেন্সকৃত দুটি অস্ত্র সাথে নিয়ে যান। যাওয়ার পথে সামান্য কাজের জন্য তারা পাবনা গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী স্যারের সাথে দেখা করতে যান। কিন্তু তার দেখা না পেয়ে আবার ফিরে আসেন। কারও সাথে একটি কোন কথা হয়নি তাদের। এরপরও তারা আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাদের অস্ত্র দুটি পাবনা সদর থানায় জমা দিয়েছেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি স্নিগ্ধ আখতার জানান, বিষয়টি তারা শুনেছেন। কেউ অফিসিয়ালি অভিযোগ করেননি। তবে অস্ত্র দুটি তারা সদর থানায় জমা দিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন বলে সদর থানার ওসি তাকে জানিয়েছেন।

পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু জানান, বিষয়টি জানার পরপরই তারা জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছেন। তারা তাদের জানিয়েছেন নিজস্ব নিরাপত্তার কারণেই সাথে অস্ত্র নিয়েছিলেন। কোন মহড়া বা হুমকির জন্য নয়। তারপরও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে দোষ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এতে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না।

জিএম

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বর্ধিত সভায় যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা 
‘আমাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি’ থানায় এসে বললেন সেই তরুণী
X
Fresh