• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভারতীয় ভেরিয়েন্ট মেহেরপুরের সীমান্ত এলাকায় ছড়ানোর আশঙ্কা 

মেহেরপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৭ জুন ২০২১, ১৮:০০
ভারতীয় ভেরিয়েন্ট মেহেরপুরের সীমান্ত এলাকায় ছড়ানোর আশঙ্কা 

কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অনেক কৃষক আবাদ করছেন তাদের জমিতে। এ সুযোগে বাংলাদেশি কৃষকদের সঙ্গে তারা অবাধে মেলামেশার সুযোগ পাচ্ছেন। এতে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্টে মেহেরপুর জেলার সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ারা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গেল এক সপ্তাহে জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত সীমান্ত জনপদের মানুষেরা।
তবে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মেহেরপুর জেলার সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তের দৈর্ঘ্য ১১১ কিলোমিটার। এর পরেই চুয়াডাঙ্গার জেলার ভারতীয় সীমান্ত। দুই জেলা মিলে বড় একটা অংশ ভারতীয় সীমান্ত। মেহেরপুর জেলার সীমান্তের ওপারে নবীননগর, শিকারপুর, তাজপুর, করিমপুর, ধাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। কৃষকরা ক্ষেত খামারে কাজ করার নামে প্রতিদিন কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে আসেন এদেশের সীমানায়। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মেলামেশা সেই সঙ্গে আত্মীয়তার সুবাদে বেড়িয়ে যান সীমান্ত ঘেঁষা গ্রামগুলোতে।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বেড়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। দামুড়হুদা উপজেলার সঙ্গে লাগোয়া মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী উপজেলার চিত্রও অনেকটাই একই। দামুড়হুদা উপজেলার কুতবপুর, হুদাপাড়া, জাহাজপোতা, হরিরামপুর, চন্দ্রবাস ও কার্পাসডাঙ্গা এলাকায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসন লকডাউন করেছে। এর পাশেই মুজিবনগর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী আনন্দবাস, জয়পুর, তারানগর, সোনাপুর, মাঝপাড়া গ্রামে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ছড়িয়ে পড়ছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে মুজিবনগর-দামুড়হুদা উপজেলার চলাচলের প্রধান সড়কেও বসানো হয়েছে প্রশাসনের ব্লক।

সীমান্তবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৭৪টি সীমান্ত ফটক রয়েছে যেগুলো দিয়ে প্রতিদিন পাশ জমা দিয়ে অন্তত ১০ হাজার ভারতীয়রা কাজ করতে আসেন। বিজিবি টহল থাকলেও কাজের ছলে এদিকে এসে অনেকেই আত্মীয় বাড়ি বেড়িয়ে যায়। গেল এক সপ্তাহে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট থাকার আশঙ্কা করছেন সীমান্তবাসী।

আক্রান্তদের মধ্যে ভারতীয় ভেরিয়েন্ট কেউ বহন করছে কি-না জানতে চাইলে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, আইইডিসিআর এটি পর্যবেক্ষণ করে। জিনোম সিকুয়েন্স পরীক্ষার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আইইডিসিআর চাইলে নমুনা প্রেরণ করবো।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খান জানান, ইতোমধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সঙ্গে আলাপ করে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে।

৬ বিজিবির অধিনায়ক কর্নেল খালেকুজ্জামান জানান, সীমান্ত বাহিনী সব সময় সতর্ক রয়েছে। এদের লোকজন যাতে ভারতীয়দের সঙ্গে মেলামেশা না করে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh