শিক্ষার্থীকে খু'ন করে লাশের পাশে মরা শিয়াল রেখে যায় খু'নিরা
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামের পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজের ৬ দিন পর এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ জুন) দুপুরে ওই গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের স্বজনদের ধারণা, ইকবালের মরদেহের দুর্গন্ধ ধামাচাপা দেয়ার জন্য শিয়াল মেরে মরদেহের পাশে ফেলে যান খুনিরা। যেন শিয়াল মরার গন্ধ মনে করে কেউ মরদেহের খোঁজ না করেন।
নিহত শাহিনুর আলম ওরফে ইকবাল (১৯) উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ রুমডো পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, গত ৩১ মে রাত ১০টার দিকে ইকবাল রাতের খাবার খেয়ে চা পানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় অপরিচিত ২ থেকে ৩ জন যুবক ইকবালের সঙ্গে কথা বলে। এর ঘণ্টাখানেক পর হঠাৎ করেই অপরিচিত যুবকরাসহ ইকবাল নিখোঁজ হন। পরের দিন ১ জুন নিহতের বাবা আব্দুর রওফ বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
-
আরও পড়ুন... কনডম ব্যবহারে আগ্রহ নেই ৯৭% নারী ও ৮৭% পুরুষের
এদিকে এ ঘটনার ৬ দিন পর শনিবার (৫ জুন) সকালে ইকবালের বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৩শ গজ দূরে হাউজি খেলার মাঠের পাশে পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর থেকে এলাকাবাসী গন্ধ পেয়ে পুলিশে সংবাদ দেন। এই সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিয়াল মরা দেখে ফেরত আসেন। পরে বিষয়টি নিয়ে নিহতের স্বজনদের সন্দেহ থাকায় আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংকের ঢাকনা খুলে ইকবালের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই সেলিম মিয়া বলেন, আমার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এই বিরোধ থেকেই তারা আমার ভাইকে খুন করে থাকতে পারেন।
তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের আরটিভি নিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ৩১ মে রাত ১০ টার দিকে চা খাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় পর থেকে ইকবাল নিখোঁজ ছিল। পরদিন নিখোঁজ শিক্ষার্থীর পিতা আব্দুর রউফ বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ইকবালকে খুন করে পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংকে মরদেহ ফেলে দেন খুনিরা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জিএম
মন্তব্য করুন