ঘূ'র্ণিঝড় 'যশ' আ'ঘাত হানতে পারে খুলনায়
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ আগামী ২৬ মে নগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা থেকে চট্টগ্রাম উপকূল বিস্তৃত হতে পারে। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি রকমের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে নাগাদ উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে।
আর ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভূবনেশ্বরসহ উড়িষ্যার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে গতকাল শুক্রবার (২১ মে) ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। শনিবার নাগাদ উত্তর আন্দামান সাগর ও সংশ্লিষ্ট পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। পরবর্তীতে এটির তীব্রতা বেড়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি উত্তর পশ্চিম দিকে অভিমুখ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার উপকূলে ২৬ মে (বুধবার) সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে।
সাধারণত যে কোনো ঘূর্ণিঝড় প্রচুর বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে। সেই হিসেবে যশ আসায় তাপপ্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। সাধারণত সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। সে কারণে বিদ্যমান তাপপ্রবাহের সঙ্গে লঘুচাপ-নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের সম্পর্ক আছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
গত দু'সপ্তাহের মধ্যে ভারতে আঘাত হানতে এটি দ্বিতীয় কোনো ঘূর্ণিঝড়। গত সপ্তাহে আরব সাগরে তৈরি হওয়া তাউতে আঘাত হানলে ১১০ জনের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঝড়টি গুজরাটে আঘাত হেনেছিল।
এমআই
আরটিভি’র সর্বশেষ নিউজ পেতে ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন...
মন্তব্য করুন